১০ সেপ্টেম্বর নজরুল মঞ্চে আয়োজিত হবে তৃণমূলের ডিজিটাল কনক্লেভ। তার আগে প্রতিনিধি বাছাই শেষ হল বুধবার। এজন্য তৃণমূলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির দেওয়া ‘শংসাপত্র’ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। না হলে ঢোকা যাবে না নজরুল মঞ্চে। ডিজিটাল কনক্লেভের আগে দলের আইটি সৈনিকদের জন্য এমনই নিয়ম বেঁধে দিল তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেল। সোমবার থেকে নাম নথিভুক্তিকরণ শুরু হয়েছিল তৃণমূল ভবনে। বুধবার তা শেষ হয়েছে। শংসাপত্র দেখিয়ে যাঁরা নাম লেখাতে পারলেন, তাঁদেরই প্রবেশপত্র দেওয়া হয়েছে। এর আগে কখনও এমন প্রক্রিয়ায় প্রতিনিধি বাছাই করতে দেখা যায়নি তৃণমূলকে।
নজরুল মঞ্চে ডিজিটাল কনক্লেভ হবে, অনেক আগেই সে কথা জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তার জন্য গত কয়েকমাস ধরে প্রস্তুতি চলেছে জোরকদমে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও নজর রেখেছেন। কারণ ১০ তারিখ নজরুল মঞ্চের ওই কর্মসূচিতে প্রধান বক্তা হিসেবে থাকছেন অভিষেকই।
সাম্প্রতিককালে খোদ মুখ্যমন্ত্রী দলীয় নেতা-কর্মীদের বারবারই জোর দিতে বলেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির যে প্রভাব এবং প্রচার তার মোকাবিলার নির্দেশ দিয়েছেন দলকে। ডিজিটাল মিডিয়াই যে ভবিষ্যতে প্রচারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে, তা ইতিমধ্যেই বুঝতে পেরেছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। তাই তৃণমূল নেত্রীও সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে বিরোধীদের কুৎসা ও অপপ্রচারের মোকাবিলা করার পাশাপাশি রাজ্যের উন্নয়নে সদর্থক বিষয়কে তুলে ধরে জনসংযোগ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় কর্মীদের । তাই ডিজিটাল কনক্লেভের জন্য কোমর বেঁধে নামার পরিকল্পনা নিয়েছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে নিয়মিত একাধিক ট্যুইট করেন। এছাড়া, ডেরেক ও’ব্রায়েন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়সহ একাধিক নেতাও ট্যুইট করেন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়ে। কিন্তু দলের সর্বস্তরে ডিজিটাল মিডিয়ায় গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য একেবারে কর্মশালার উদ্যোগ নিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বিভিন্ন ব্যক্তি, সংস্থা এবং দলের বিভিন্ন পদাধিকারীদের। জানা গেছে, ডিজিটাল মিডিয়ায় প্রচারে আরও গুরুত্ব আরোপ করা এবং অভিনবত্ব আনার জন্যই এই কর্মসূচি।
কিন্তু কেন এভাবে প্রতিনিধি নির্বাচন? তৃণমূল নেতারা জানিয়েছেন, সম্মেলনে ভিড় বাড়ানো নয়, প্রকৃত আগ্রহীরা যাতে ডিজিটাল কনক্লেভে যোগ দিতে পারেন তার জন্যই এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হবে প্রতিনিধি সংখ্যা। ফলে অধিকাংশ আসনই ইতিমধ্যে পূরণ হয়ে গিয়েছে। তবে কনক্লেভের দিন সকালে কিছু নাম লেখানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।