রাজ্যের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ রক্ষার জন্য রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলি শিক্ষা বিভাগের কাছে কিছু পরামর্শ পাঠিয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছ থেকে স্থগিত সেমিস্টারের সম্পর্কে কোনও গাইডলাইন বা নির্দেশিকা দিয়ে রাজ্যকে চিঠি পাঠানো হয়নি। জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক অথবা ইউজিসির তরফে স্থগিত পরীক্ষার ভবিষ্যৎ সংক্রান্ত কোনও চিঠি পায়নি রাজ্য।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিচ্ছি যে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করে উচ্চশিক্ষা বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেবে।’ তিনি বলেন, রাজ্যের শিক্ষা দফতর এই বিষয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করেই কাজ করছে। পাশাপাশি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এমন কোনও সংবাদ প্রচার করবেন না যাতে রাজ্যের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।’
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষাবর্ষ জুলাই মাসের পরিবর্তে সেপ্টেম্বরে শুরু হোক, সম্প্রতি ইউজিসি এই সুপারিশ করে। তবে উচ্চশিক্ষার সেশন পিছিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা বিভাগ এখনও কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি। কিন্তু রাজ্যের শিক্ষা মহল মনে করছে, শিক্ষাবর্ষ পিছন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও নির্দেশিকা জারি না করলে ইউজিসির সুপারিশই কার্যকর করা হবে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ১২ মার্চ শুরু হয় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। ২১ তারিখ পর্যন্ত হওয়ার পর তা করোনা সতর্কতার জেরে স্থগিত হয়ে যায়। ২৩, ২৫ ও ২৭ মার্চের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে ১০ জুনের পর। একাদশের সবাইকে দ্বাদশে উত্তীর্ণ করা হবে বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এদিকে স্থগিত উচ্চ মাধ্যমিকের তিনটি পরীক্ষা হওয়ার পর ফলপ্রকাশ জুলাই মাসের আগে সম্ভব নয়।
অন্যদিকে, এক নির্দেশে ইউজিসি বলেছে, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলিতে স্থগিত পরীক্ষার বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনা শুরু করতে হবে। কমিশনের প্রদত্ত সুপারিশগুলির ভিত্তিতে সাত সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট জানানোর কথা বলে রাজ্য সরকার।