গত সপ্তাহ থেকেই হাওড়া শহরে লকডাউন কঠোর করা হয়েছে। কাজিপাড়া থেকে জিটি রোড ধরে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত সব রাস্তা বন্ধ। রাস্তার উপরে গার্ডওয়াল বসিয়ে সব ধরনের যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ। সোমবার শিবপুরে প্রায় সব ব্যাঙ্কের শাখাই বন্ধ ছিল। কড়াকড়ি চলছে হাওড়া পুরনিগমের ১ নম্বর থেকে ৬ নম্বর ওয়ার্ডেও। আজ মঙ্গলবার শিবপুর এলাকার বহু ব্যাঙ্কের শাখা সকাল থেকে খোলেনি। ভিড় এড়াতেই বেশিরভাগ ব্যাঙ্ক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত। তবে গুজব রটে যায় যে পুরো জেলার সব ব্যাঙ্ক সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরে অবশ্য জানা যায় যে, এটা মিথ্যে রটনা।
হাওড়া শহরে রবিবার থেকেই বেলা বারোটার মধ্যে বাজার-দোকান বন্ধ করে দিচ্ছিল পুলিশ। মিষ্টির দোকানিরা নিজেরাই দোকান বন্ধ করে দিচ্ছিলেন বেলা বারোটার পরে। রাস্তায় জমায়েত দেখলেই সিটি পুলিশ তা ফাঁকা করে দিচ্ছিল। সোমবার হাওড়ার অন্যতম সবচেয়ে বড় কেনাবেচার জায়গা কালীবাবুর বাজার কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মূল বাজারের বাইরে যে সব অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকান রয়েছে সেগুলিও বেলা বারোটার মধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। চ্যাটার্জিহাট বাজার সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে ডুমুরজলার মাঠে (যেখানে স্পোর্টস সিটি গড়ার প্রস্তাব রয়েছে)। রামরাজাতলার বাজার সরিয়ে দেওয়ার কথা হচ্ছে শঙ্করমঠের মাঠে যেখানে হাওড়া মেলা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব যাতে লোকে বজায় রাখতে পারেন সেজন্যই এই সিদ্ধান্ত।
শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে স্পর্শকাতর এলাকায় থার্মাল স্ক্রিনিং শুরু হয়েছে। পুলিশের নজর এড়িয়ে যে সব কারখানা লুকিয়ে চুরিয়ে চলছিল সোমবার থেকে সেগুলিও বন্ধ। হাওড়া এখন রেড স্টার জোন ঘোষিত হওয়ায় সাধারণ লোকের মধ্যেও আশঙ্কা বেড়েছে। তাই পাড়ায় পাড়ায় লুকিয়ে চুরিয়ে যে সব আড্ডা চলছিল সেই আড্ডাও এখন বন্ধ হয়ে গেছে। আর তাই রবিবার দুপুরের পর থেকেই গোটা শহর কার্যত শুনশান মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে।