করোনা মোকাবিলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে গোটা দেশ জুড়ে লকডাউনের ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত ২৩ মার্চ গভীর রাত থেকে লাগু হয়েছে যা। ইতিমধ্যেই এই লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু দেশের এই করোনা পরিস্থিতিতে আদৌ ওই দিনের পর লকডাউন তোলা হবে নাকি বজায় থাকবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এবার বৈঠকে বসছে মন্ত্রিগোষ্ঠী।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে একদল মন্ত্রীরা মিলে জরুরি বৈঠকে বসবেন এবং সেই বৈঠকে লকডাউন তুলে দেওয়া নিয়ে আলোচনা হবে বলেই জানা গেছে। মে মাসের ৩ তারিখের পর লকডাউনের মেয়াদ শেষও যদি হয়ে যায় তাহলেও পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে বলে সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, যে এলাকাগুলো করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে হটস্পট বলে চিহ্নিত হয়েছে সেখানে অনেক বেশি করে কড়াকড়ি করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর যে জায়গাগুলোতে এখনও করোনা সেভাবে থাবা বসাতে পারেনি সেখানকার পরিস্থিতি অপেক্ষাকৃত অনেকটাই শিথিল করার ভাবনা রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। তবে লকডাউন উঠে গেলেও এখনও দেশের সব জায়গাতেই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে এবং মাস্ক পড়া আবশ্যিক হিসাবেই গণ্য হবে।
সূত্র বলছে, আপাতত লকডাউনের মেয়াদ ৩ মে-র পর বাড়ানোর কোনও পরিকল্পনা নেই সরকারের। তবে যে এলাকাগুলো ‘গ্রিন জোনস’ বা করোনা সংক্রমিত অঞ্চল নয়, লকডাউন উঠে যাওয়ার পর সেখানকার মানুষ অনেকটাই স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারলেও বাকি জায়গায় অর্থাৎ অতি সংক্রমিত এবং অপেক্ষাকৃত কম সংক্রমিত অঞ্চলগুলোতে বহু বিধিনিষেধ আরোপ করা থাকবে বলেই ইঙ্গিত মিলছে।
কিছু কিছু জায়গায় জেলা বা শহরের মধ্যে স্থানীয়ভাবে গণপরিবহণ চালু করা হতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার আবশ্যিক। এবং বজায় রাখতে হবে সামাজিক দূরত্বও। যে অফিসগুলোতে কাজ শুরু হবে সেখানেও একই নীতি ও অনুশাসন মেনে কাজ করতে হবে। অন্যদিকে, লকডাউনের পরেও যে কোনও ধরণের জমায়েত নিষিদ্ধ থাকবে। কোনও বিবাহ অনুষ্ঠান, ধর্মীয় জমায়েত এবং অন্যান্য বড় সভা সমাবেশের বিষয়ে অনুমতি দেওয়ার এখনই কোনও সম্ভাবনা নেই।