২০১৯ সালে বাংলা থেকেই দিল্লী যাওয়ার ছাড়পত্র পেয়েছিলেন ১৮জন বিজেপি সাংসদ। কিন্তু এই করোনা ভাইরাসের দাপটের সময়ে রাজ্যের শাসক দলের নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়কদের চোখে পড়লেও ভোজবাজির মতো উবে গিয়েছেন ওই ১৮ জন বিজেপি সাংসদ। দেখা নেই বিজেপি নেতা-বিধায়ক-মন্ত্রীদেরও। বাংলাকে কার্যত বাঘিনীর মতো আগলে রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সব দেখেই গেরুয়া শিবির নিয়ে মোহভঙ্গ হচ্ছিল তাঁদের। তাই আর দেরি না করে ত্রাণ নিতে এসে খোদ বিধাযকের হাত থেকে শাসক দলের পতাকা নিজেদের হাতে তুলে নিয়ে যোগ দিয়ে দিলেন তৃণমূলে। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ থানা এলাকার কেবলপাড়া স্কুল ময়দানে।
জানা গিয়েছে, রবিবার বিকালের মূল অনুষ্ঠানটি ছিল এলাকার তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের উপস্থিতিতে কিছু মানুষের হাতে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু এদিন দুপুরেই বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এলাকারই ৩ বিজেপি নেতা। তারা জানান যে, বিজেপিতে তাঁদের মোহভঙ্গ হয়েছে। তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন বাংলার মানুষের পাশে এই দুর্দিনে কে আছে আর কে নেই। তাই তাঁরা আর বিজেপিতে থাকতে চাইছেন না। তাঁরা তৃণমূলে যোগদান করবেন। এরপর খগেশ্বরবাবু যোগাযোগ করেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবের সঙ্গে। তাঁকে গোটা বিষয়টি জানান। গৌতমবাবু সব শুনে দলবদলের ঘটনায় সায় দিতেই বিকালে ওই ত্রাণ বিলির অনুষ্ঠানেই বিজেপি নেতাদের অনুগামী নিয়ে শাসক শিবিরে যোগদানের কথা চূড়ান্ত হয়ে যায়।
সেই মতো রবিবার বিকালে কেবলপাড়া স্কুল ময়দানে তৃণমূল বিধায়কের ত্রাণ বিলির অনুষ্ঠানে দলবদল করলেন ৩ বিজেপি নেতা-সহ প্রায় ৪০০ কর্মী সমর্থক। তবে এদিনের অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র ৩ নেতাই এসেছিলেন। তাঁদের অনুগামী, সমর্থকেরা আসেননি। তাঁরা যাতে এই যোগদানপর্ব দেখতে পারেন তাই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের ফেসবুক পেজে তা লাইভ করা হয়। দলবদলের পরে বিধায়ক জানান, ‘করোনা মোকাবিলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবিক মুখ দেখে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন ওই তিন বিজেপি নেতা। যেহেতু লক ডাউন চলছে তাই আমরা এদের এক সঙ্গে জমায়েত না করিয়ে ৩ নেতার হাতে পতাকা তুলে দিয়েছি। লক ডাউন উঠলে ফের অনুষ্ঠানিক ভাবে যোগদান করানো হবে ওই ৪০০ কর্মী সমর্থককে।