বাংলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর পর তার শেষকৃত্য নিমতলা শ্মশানঘাটে করতে বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে কলকাতা পুলিশ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ঘন্টা তিনেক বাদে দাহ করা হয়েছিল তাঁকে। তবে এবার ‘করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে’, শুধুমাত্র এই সন্দেহের বশেই মৃতদেহ সৎকার আটকে দিল স্থানীয় বাসিন্দারা।
পরিবারের দাবি, করোনায় আক্রান্ত হননি, বরং আত্মঘাতী হয়েছেন এই যুবক। কিন্তু মৃতের পরিবারের কথা কেউ শুনতে রাজি হননি বলে অভিযোগ। সৎকার করতে গিয়ে বারবার বিক্ষোভে মুখে পড়ছেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুণেতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এখানে দেহ সৎকার করলে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই দাহ করতে দেওয়া হবে না। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত দেহ সৎকার করা সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার এই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি এলাকার বাসিন্দারা।
প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি থানার অন্তর্গত ঘাঁটুয়া গ্রামের বাসিন্দা অক্ষয় রাউল কর্মসূত্রে সস্ত্রীক মহারাষ্ট্রের পুণেতে থাকতেন। গত রবিবার বছর তেইশের ওই যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি পরিবারের লোকজন একটি গাড়ি ভাড়া করে ওই মৃতদেহ গ্রামে নিয়ে আসেন। কিন্তু সেই দেহ সৎকারে বাধা দেন গ্রামবাসীরা। নিরুপায় হয়ে পরিবারের লোকজন দেহটি সৎকারের জন্যে কাঁথি শহরের একটি শ্মশানে নিয়ে আসেন। কিন্তু সেখানেও চরম বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা।
মৃতের পরিবারের লোকজনের কথায়, পারিবারিক অশান্তির জেরে ওই যুবক গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। করোনায় সংক্রমিত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়নি। কিন্তু কে শোনে কার কথা! কোনও কথা শুনতেই নারাজ এলাকাবাসী। সকলেরই সন্দেহ ওই যুবক হয়ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে।