মার্চের মাঝামাঝি নোটিফিকেশন? কয়েক দফায় পুরভোটের সম্ভাবনা। নিয়ম বলছে, পৌরভোটের দিনক্ষণের বিষয়ে সুপারিশের দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনকে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে পুরভোটের বিষয় সবুজ সংকেত দিয়েছে নবান্ন । সেই সূত্রেই শুরু হয়ে গেছে কাজ । রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, তারা যা ইঙ্গিত পেয়েছে তাতে মার্চের প্রথম সপ্তাহে সরকারিভাবে চিঠি চলে আসার কথা। সেক্ষেত্রে ২০ মার্চের মধ্যেই পুর নির্বাচনের নোটিফিকেশন জারি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। পাশাপাশি কমিশন চাইছে, কয়েক দফায় পুর নির্বাচন সম্পন্ন করতে । সে ক্ষেত্রে নির্বাচন গড়াতে পারে জুন পর্যন্ত।
রীতি অনুযায়ী ভোটের দিনক্ষণের বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কোনও লিখিত চিঠি নির্বাচন কমিশন পায়নি। তবে পুরোদমে ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তারা। এদিকে সোমবার ৯২টি পৌরসভা এবং পৌরনিগমে আসন সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হয়ে গেছে। আগেই ১৭টি পুরসভা এবং পুরনিগমে সেই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী খসড়া তালিকা প্রকাশের দিন থেকে ১০ সপ্তাহ পরে ভোট নিতে কোনও অসুবিধা নেই। অর্থাৎ ২৭ মার্চের পর যে কোনও দিন ভোটগ্রহণ হতে পারে। সেই সূত্রেই শোনা যাচ্ছে, এপ্রিলে কলকাতা পুরনিগমের নির্বাচন দিয়ে শুরু হতে পারে পুরভোট। ১২ এপ্রিল কলকাতা এবং হাওড়া পুরসভার ভোট করতে চায় রাজ্য সরকার। ওই দুই পুরসভা বাদে বাকি পুরসভায় ২৬ কিংবা ২৭ এপ্রিল ভোট করতে চাইছে সরকার।
এদিকে ২৪ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে রমজান মাস। সেই সময় ভোটের বিষয়ে আপত্তি রয়েছে তৃণমূল নেত্রীর। তাই কলকাতা পুরনিগমের নির্বাচনের পর মাঝে একটা মাস সময় নেওয়া হবে বলেই মনে করছেন অনেকে। সেই ক্ষেত্রে ইদের পর শুরু হবে বাকি পুরনিগম এবং পুরসভাগুলির নির্বাচনের কাজ। নির্বাচন কমিশন মনে করছে, সিউড়ি, বোলপুর-সহ ১১১টি পুরসভার নির্বাচন একদিনে করতে গেলে বিস্তর কাঠ-খড় পোড়াতে হবে। তাই তারা চাইছে কয়েক দফায় ভোট করতে। এই প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘১১১টি পৌরসভার নির্বাচন একসঙ্গে করতে হলে তা প্রায় সাধারণ নির্বাচনের পর্যায়ে চলে যাবে। সেটা করতে গেলে যে ক্ষমতা দরকার তা আমাদের নেই। তাই একদিনে এই নির্বাচন করা কার্যত অসম্ভব। সেই জন্যই আমরা চাইছি কয়েকটি দফায় নির্বাচন করতে।’