অবশেষে আদালতে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলাকাণ্ডের চার্জশিট পেশ করল দিল্লী পুলিশ। গত ১৩ ডিসেম্বর সাকেত আদালতে ওই চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। জামিয়া ও সন্নিহিত ফ্রেন্ডস কলোনির ওই হাঙ্গামায় জড়িত থাকার অভিযোগে চার্জশিটে মোট ১৮ জনের নাম রাখা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে হাঙ্গামা, সম্পত্তি নষ্ট ও বাধা দেওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে।
দিল্লী পুলিশের দেওয়া চার্জশিটের গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, হাঙ্গামার উদ্যোক্তা হিসেবে নাম রাখা হয়েছে শারজিল ইমামের। বম্বে আইআইটির এই প্রাক্তণীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে। এদিন চার্জশিটের সঙ্গে জমা দেওয়া হয়েছে সিসিটিভির ফুটেজ, ১০০ জন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান, মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড। দিল্লী পুলিশের দাবি, জামিয়া চত্বরে যে বুলেটের খোল পাওয়া গিয়েছে তা ৩.২ এমএম পিস্তলের।
চার্জশিটে যাদের নামে রাখা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৯ জন হল নিউ ফ্রেন্ডস কলোনির বাসিন্দা, ৮ জন জামিয়া মিলিয়া ইউনিভার্সিটির। এরা সবাই এলাকার বাসিন্দা। গত ১৫ ডিসেম্বরের ওই ঘটনায় পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডায়ার কোনও ভূমিকা ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে হওয়া প্রতিবাদ মিছিলকে ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে দিল্লীর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও সন্নিহিত এলাকা। পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষ, বাস জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো অভিযোগে নাম জড়ায় সেখানকার পড়ুয়াদের। পাশাপাশি জামিয়ার লাইব্রেরিতে ঢুকে বেপরোয়া লাঠিচার্জ করে পুলিশও। গত কয়েকদিন আগে সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজও ভাইরাল হয়েছিল।