রাজ্যের যে পরিবারগুলির বার্ষিক আয় দেড় লক্ষ টাকার কম, সেই সব পরিবারের মেয়েরা ১৮ বছরের পরে বিয়ে হলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা রূপশ্রী প্রকল্পের আওতায় তাঁদের ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। কিন্তু এবার বাবা কৃষি ঋণ শোধ করতে না পারায় মেয়েকে রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা দিল না এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক।
ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের কালাড়া গ্রামে। জানা গিয়েছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সদ্য বিবাহিতা শিউলি মালিক রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা দিতে অস্বীকার করে। কারণ হিসেবে জানান হয়, তাঁর বাবা এখনও ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া কৃষি ঋণের টাকা মেটাতে পারেননি। অবশেষে সুবিচার চেয়ে বিডিওর দ্বারস্থ হলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। আর প্রশাসনের চাপে তারপরেই ভোল বদলাতে বাধ্য হয় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, সরকারি সব নিয়ম মেনেই রূপশ্রীর জন্য আবেদন করেন অসুস্থ দিলীপ মালিক। অভিযোগ, গত বারই ফেব্রুয়ারি ব্যাঙ্কে মেয়ের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়ে। কিন্তু আগের কৃষিঋণের পয়ত্রিশ হাজার টাকা বকেয়া থাকায় মেয়েকে সেই টাকা না দিয়ে ফিরিয়ে দেয় ব্যাঙ্ক। এরপরই প্রশাসনের দ্বারস্থ হয় পরিবার। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মিটেছে সমস্যা। জানা গিয়েছে, শিউলি দেবীকে তাঁর প্রাপ্য টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ব্যাঙ্ক।