এদিন ফের ধর্মতলায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ধর্ণামঞ্চে হাজির হলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানে গিয়েই ছাত্র সমাজের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে বললেন, ‘পাবলিসিটি পাওয়ার জন্য আন্দোলন করে অনেকে। পড়ুয়ারা তা করবে না। শুধু একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আন্দোলন করছে এমন নয়, গোটা দেশজুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা।’ সেইসঙ্গে বাম ছাত্রদের কেউ কেউ শনিবার তাঁকে কটূক্তিও করেছিল বলে এদিন জানান তিনি। তবে তাঁর কথায়, ‘যে ছাত্ররা আমাকে কটূক্তি করেছে, তাঁদেরকেও আমার অভিনন্দন জানাই’।
এই আন্দোলনকে ভেস্তে দিতে অনেকেই চেষ্টা চালাবে বলে পড়ুয়াদের সতর্কও করে দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘সকলে একজোট থাকো। মানুষের স্বার্থে আন্দোলন করো। কেউ কেউ বাসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। সেটা প্রচার পেতেই করেছে। হিংসা দিয়ে কখনও আন্দোলন হয় না।’ সেই প্রসঙ্গে নিজের সিঙ্গুর আন্দোলনের কথাও তুলে ধরেন তিনি।
শনিবার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ধর্ণামঞ্চে হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ যায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। সেই ঘটনার জন্য পরোক্ষে বাম ছাত্র-যুবদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন তিনি। সেইসঙ্গে মত আলাদা হলেও একইসঙ্গে সিএএ বিরোধী আন্দোলন করার বার্তাও দিয়েছিলেন। যার ফলে পরিষ্কার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে প্রোটোকল মেনে যতই সৌজন্য সাক্ষাৎ করুন তিনি, সিএএ-এনআরসি বিরোধী আন্দোলন থেকে তিনি সামান্যও যে সরছেন না, তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।