মানুষের ভোটে ক্ষমতায় এসে জনসাধারণের জন্যে কাজ নয়, বরং গো-রাজনীতিতে অধিক মন দেন বিজেপির নেতামন্ত্রীরা। তাই সেখানেই ধ্যান দেন তাঁরা। হিন্দু সংগঠনগুলির পাশাপাশি, ডানপন্থী রক্ষণশীল রাজনৈতিক দলের কাছে চারপেয়ে গরু হলেন মাতা। আর মায়ের অপমান কোনওভাবেই বরদাস্ত নয়। গরুকে কেন্দ্র করে গণপিটুনি থেকে শুরু করে খুন কোনওটাই বাদ দেয়নি হিন্দু ধর্মের ‘রক্ষক’গণ। এবার মানুষের মধ্যে গোমাংস খাওয়ার প্রবণতা কমাতে এবং গোমাতাকে রক্ষার্থে এক অভিনব উপায় বাতলালেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। তাঁর দাবি গরু খাওয়ার প্রবণতা কমাতে দেশের প্রতিটি স্কুলে বাধ্যতামূলক করা হোক গীতা পাঠ।
তিনি এক সমীক্ষামূলকভাবে তথ্য পেশ করে গিরিরাজ বলেন, আমি ১৫ টি বাড়ি থেকে হনুমান চল্লিশা পেয়েছি এবং মাত্র ৩ টি বড়ই থেকে গীতা ও রামায়ন পেয়েছি। আর এটাই মূল কারণ আমাদের সন্তানরা তাদের দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে অবগত নয়। অবশ্য ওদের আমরা দোষ দিতে পারি না কারণ আমাদের সংস্কৃতিটা সকলের সামনে আমরা তুলে ধরা থেকে বঞ্চিত।’ এরপরই প্রত্যেকের কাছে আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারতের সংস্কৃতিকে রক্ষা করো ও ভারতকে রক্ষা করো।’
গো-মাংস ভক্ষণ সম্পর্কে তাঁর আজব দাবি, ‘দেশের প্রতিটি স্কুলে বাধ্যতামূলক ভাবে পড়ানো হোক ভগবৎ গীতা।’ তাঁর কথায়, ‘আমাদের দেশের পড়ুয়ারা উচ্চ শিক্ষার তাগিদে প্রায়ই বিদেশযাত্রা করে। এবং সেখানে গিয়ে দেশের সংস্কৃতি ভুলে শুরু করে দেয় গোমাংস খাওয়া। কিন্তু কেন? কারণ আমরা আমাদের সন্তানদের শেখাইনি আমাদের সংস্কৃতি এবং চিরাচরিত ঐতিহ্যের গুরুত্ব।’
শুধু তাই নয়, আরও একধাপ এগিয়ে দেশজুড়ে ইংরেজি নববর্ষের এই বাড়বাড়ন্তেরও ঘোর বিরোধী হয়ে গলার সুর চড়ান গিরি। তিনি টুইট করে আরও বলেন, ‘আমাদের নববর্ষ বর্ষপ্রতিপদ থেকে শুরু হয়। আমরা তো সনাতন ধর্মালম্বী, প্রভু শ্রীরামের বংশধর’।