এনআরপি নিয়ে মোদী সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সিপিএম এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি৷ তাঁর সাফ কথা, এনআরপি নিয়ে নাগরিকদের পরীক্ষা নেওয়ার আগে মোদীর মন্ত্রীরা আগে তাঁদের ডিগ্রি দেখাক৷ স্বাভাবিকভাবে তাঁর নিশানা কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যানমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ও কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পখরিওয়াল নিশাঙ্ক৷ স্মৃতি এক এক সময় তাঁর এক এক রকম শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখিয়েছেন৷ যা নিয়ে দেশজুড়ে প্রবল বিতর্ক হয়েছিল৷ নিশাঙ্কো তাই৷ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন( সিএএ), জাতীয় নাগরিকপঞ্জিকরণ(এনআরসি) ও জাতীয় জনগণনা নিবন্ধীকরণ(এনপিআর) এই সবেরই আগাগোড়া বিরোধিতা করছে বামফ্রন্ট৷
কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস ও বামফ্রন্টকে বর্তমান জাতীয় রাজনীতিতে এক সুতোয় বেঁধেছে৷ একসঙ্গে আন্দোলন না করলেও এই তিনদল আগাগোড়া এনআরসি, এনপিআর ও সিএএ-র বিরোধিতা করছে৷ এদের অভিযোগ, এনপিআর এনআরসির প্রথম ধাপ৷ যা মানতে নারাজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বার বার দাবি করেছেন এনারপির সঙ্গে এনারসির কোনও সম্পর্ক নেই৷ তবে তাঁদের আশ্বাসকে বিশ্বাস করতে পারছে না বিরোধীদলগুলো৷ এমনকী এই নিয়ে প্রবল সন্দিহান জেডিইউ, পিএমকে, অকালিদলের মতো এনডিএ শরিকরাও৷ এ’প্রসঙ্গে সীতারামের সাফ কথা, মোদী সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা এখন প্রবল প্রশ্নের মুখে৷
বাম শাসিত কেরলে বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাপ পাশ হয়েছে৷ এই নিয়ে সরাসরি কেন্দ্রর সঙ্গে সংঘাত শুরু হয়েছে রাজ্যের৷ এই প্রসঙ্গে ইয়েচুরি অবশ্য কোনো মন্তব্য করেননি৷ তিনি মোদী সরকারের দ্বিচারিতা নিয়ে সরব হলেন৷ তাঁর কথায়, মোদীর মন্ত্রীরা সংসদে এক আর বাইরে অন্য কথা বলছেন৷ এরপর তাঁর প্রশ্ন, তাহলে জনতা কোন কথা কে বিশ্বাস করবে? তিনি মনে করিয়ে দেন একসময় সংসদে বার বার মোদীর মন্ত্রীরা বলেছেন এনপিআর হল এনারসির প্রথম ধাপ৷ আর এজন্য তাঁর দল এনপিআরকেও সমর্থন করছে না বলে সাফ জানান ইয়েচুরি৷ উল্লেখ্য সিএএ অনুসারে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে আগত হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি, শিখ ও খ্রিশ্চান শরণার্থীরা ভারতের নাগরিক হবে৷ সাম্প্রদায়িক এই আইনের বিরোধিতা শুধু মুসলিমরা নয় অধিকাংশ বিরোধী দল বিরোধিতা করছে৷