একটা সময় অবধি কলেজ বা শিক্ষায়তনগুলিই ছিল রাজনীতির আঁতুর ঘর। সেখান থেকেই উঠে এসেছিলেন প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি, সুব্রত মুখোধ্যায়দের মতো বাংলার একঝাঁক নেতা-নেত্রী। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করেই আজ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে পৌঁছেছেন। এবার সেই কথা মনে রেখেই রাজনীতিতে দলের ছাত্র-যুবদের আরও উদ্বুদ্ধ করতে তাঁদের নিয়ে কর্মশালায় হাজির থাকবেন তৃণমূল নেত্রী। দলের এই তরুণ নেতা-কর্মীদের রাজনীতির পাঠ দেবেন তিনি। আগামী ২৭ ও ২৮, দুইদিনের এই কর্মশালা হবে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। দুই দিনই বেলা বারোটা থেকে সন্ধ্যা ছটা পর্যন্ত চলবে এই ছাত্র-যুব কর্মশালা।
প্রসঙ্গত, এনআরসি এবং সিএএ-র বিরুদ্ধে দেশজুড়ে তরুণ প্রজন্ম, বিশেষত পড়ুয়ারা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটকের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যে পুলিশি অত্যাচারের শিকার হয়েছেন আন্দোলনকারী ছাত্ররা। বাংলাতেও পড়ুয়ারা সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন সেই আন্দোলনে। মমতাও চান নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিরা বেশি বেশি করে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হোন। তৃণমূল সুত্রের দাবি, বিজেপির ধর্মীয় বিভাজনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দলের ছাত্র-যুবদের সামনের সারিতে আনতে চান মমতা। সেই লক্ষ্যেই মুখ্যমন্ত্রী এই কর্মশালায় হাজির হয়ে তরুণ প্রজন্মের কর্মীদের দিশা দিতে চান।