এবছর গুয়াহাটিতে আসর বসেছে ‘খেলো ইন্ডিয়া’-র। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ অবধি চলবে এই প্রতিযোগিতা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন ক্রীড়াক্ষেত্রের প্রতিযোগীরা এতে অংশ নিতে বর্তমানে গুয়াহাটিতেই রয়েছে। কিন্তু এর ফলে সমস্যায় পড়েছে জন আব্রাহামের দল নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি। কারণ, এই নতুন প্রতিযোগিতার জন্য খেলার এবং অনুশীলনের কোনও স্টেডিয়াম নেই গুয়াহাটিতে। ফলে প্রায় এক মাস ইন্ডিয়ান সুপার লিগের নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসিকে রাজ্যের বাইরে থাকতে হবে।
সংগঠকেরা আজ বৃহস্পতিবার জামশেদপুর এফসি বনাম রবার্ট জেরিনির দলের ম্যাচ বাতিল করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, নর্থইস্টকে পরের তিনটি ম্যাচ খেলতে হবে গোয়া, চেন্নাই এবং কলকাতায়। এমনিতেই সিএএ-র প্রতিবাদে তৈরি হওয়া অশান্তির জন্য চেন্নাইয়িন এফসির বিরুদ্ধে খেলা স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। এ বারের সমস্যার কারণ ‘খেলো ইন্ডিয়া’। যা শুরু হবে ৯ জানুয়ারি থেকে। চলবে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। মেয়েদের ফুটবল, জিমন্যাস্টিক্স-সহ ৩২টি ইভেন্ট হবে এই প্রতিযোগিতায়। ফলে গুয়াহাটি-সহ সব অনুশীলনের মাঠও নিয়ে নিয়েছে আসাম সরকার।
এতেই ঘটেছে যত সমস্যা। সব মাঠ আসাম সরকার নিয়ে নেওয়ার ফলে আসামোয়া গিয়ানদের অনুশীলনের কোনও মাঠ নেই। জহওরলাল নেহরু স্টেডিয়াম সংলগ্ন যে দুটি অনুশীলনের মাঠ আছে, তার একটি মাত্র এক ঘণ্টার জন্য পেয়েছেন নর্থইস্ট দলের কর্তারা। তাও মাত্র দু’দিনের জন্য। এখন বড়দিনের ছুটি চলছে জোসে ডেভিড লিডোদের। ৪ জানুয়ারি থেকে অনুশীলন শুরু হওয়ার কথা দলের। দু’দিন অনুশীলন করেই গোয়া চলে যাবে দল। গোয়ায় খেলা ৮ জানুয়ারি।
গুয়াহাটিতে ফোন করে জানা গেল, নিজেদের মাঠ না থাকায় ম্যাচের পরে ১০ দিন গোয়ার মারগাওতেই অনুশীলন করবেন ফুটবলারেরা। তারপর পুরো দল যাবে চেন্নাইয়িন এফসির সঙ্গে খেলতে। ১৬ জানুয়ারি সেখান থেকে দল আসবে কলকাতায়। ২৭ জানুয়ারি এটিকের সঙ্গে খেলা রয়েছে নর্থইস্টের। কলকাতায় ম্যাচের আগের সাত দিন চেন্নাইতে হবে অনুশীলন। কোচ জেরিনির ইচ্ছে ছিল কলকাতায় অনুশীলন করার। কিন্তু এখানে মাঠ চেয়েও পাওয়া যায়নি।