এনডিএ জোট নিয়ে অসন্তুষ্ট বিজেপির আরও জোট শরিক শিরোমনি অকালি দল। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে জোট শরিকদের কোনও পরামর্শই নেয়নি কেন্দ্রের মোদী–শাহ নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে এমনই গুরুতর অভিযোগ তুললেন শিরোমনি অকালি দলের নেতা নরেশ গুজরাল। পাশাপাশি বিজেপিকে অটলবিহারী বাজপেয়ীর ‘জোট ধর্ম’পালনের কথা স্মরণ করিয়েছেন তিনি।
সিএএ নিয়ে এনডিএ শরিকদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অকালি দলের নেতা নরেশ বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক যে এনডিএ-তে এ নিয়ে আলোচনা হয়নি। এটা আরও দুর্ভাগ্যজনক যে কারও মতামত পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। এই কারণে এনডিএ শরিকরা খুশি নয়।’ নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর মতো ‘জোট ধর্ম’ পালনের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়ে গুজরাল আরও বলেন, ‘বাজপেয়ি জানতেন কীভাবে শরিদের সম্মান দিতে হয়। বাজপেয়ীজির আমলে ২০টি শরিক দল ছিল। সবাই খুব খুশি ছিল। আর এখন বেশিরভাগ শরিক দলই অসন্তুষ্ট। যদি নাগরিকত্ব আইনে ফের সংশোধন না করা হয়, তাহলে আমরা ভেবে দেখব এনডিএ–তে থাকব কিনা। নাগরিক বিল সংসদে নিয়ে আসার আগে আমাদের সঙ্গে কোনও পরামর্শ করার প্রয়োজন বোধ করেনি মোদি সরকার।’
সংসদে ভোটাভুটির সময়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের পক্ষেই ভোট দিয়েছিল শিরোমনি অকালি দল। সেবিষয়ে গুজরাল বলেন, ‘বিগত ১০–১২ বছরে আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান থেকে ৬০–৭০ হাজার শিখ ধর্মীয় কারণে এদেশে চলে এসেছিলেন। তাঁরা আজও নাগরিকত্ব পাননি। তাঁরা যাতে নাগরিকত্ব পান, সেই কারণেই এই বিলের সমর্থন করা হয়েছিল সংসদে।’ এদিন সংবাদমাধ্যমে এনআরসির–ও বিরোধিতা করেন তিনি। জানান, ‘এনআরসির জন্য মানুয় ভীত। কোনওভাবেই যেন দেশে খুন, দাঙ্গা না হয়। সমস্যার সমাধান করুন।’
মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে টানাপড়েনের জেরে কয়েক দিন আগেই এনডিএ-র সবচেয়ে পুরোন শরিক শিবসেনাকে হারিয়েছে বিজেপি। মোদী-শাহ-এর ছত্রছায়া থেকে বেরিয়ে কংগ্রেস ও এনসিপি-র হাত ধরে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়েছেন উদ্ধব ঠাকরেরা। এ বার ‘জোট ধর্ম’ পালন নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলে দিল আরেক পুরনো শরিক এসএডি-ও। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী শিবির ও নাগরিক সমাজের প্রতিবাদ কেন্দ্রীয় সরকারের মাথাব্যথা বাড়িয়ে দিয়েছে। আর সেই চাপ আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিল এসএডি।