প্রতিবেদন : ভুয়ো ভোটার কার্ড(Duplicate Epic Card)ইস্যুতে ইতিমধ্যেই সরগরম দেশের রাজনীতি। ডুপ্লিকেট এপিক কার্ডের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে সংসদে আলোচনা করা হোক, এমন দাবি তুলে বুধবার সংসদের ভিতরে ও বাইরে সরব হলেন তৃণমূল সাংসদরা৷ সরকার কেন ডুপ্লিকেট এপিক কার্ডের ইস্যু নিয়ে সংসদে খোলাখুলি আলোচনা করতে রাজি হচ্ছে না? রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে প্রশ্ন তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়ানের।
Read More: অভিষেকের ভার্চুয়াল মেগা বৈঠকে আমন্ত্রিত দলের সর্বস্তরের নেতৃত্ব
এদিন রাজ্যসভায় ভাইস চেয়ারম্যান হরিবন্সর সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ডেরেক বলেন, “আগামী সপ্তাহে সংসদে ডুপ্লিকেট এপিক কার্ড(Duplicate Epic Card)ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা হোক৷ আমাদের পজিটিভ সাজেশন হল, আপনারা খোলাখুলি এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করুন৷ আমরা সংসদের অধিবেশনে বিঘ্ন ঘটাতে চাই না৷ শুধু আমরা নয়, অন্যান্য বিরোধী দলগুলিও একই দাবি জানাচ্ছে৷ এই অবস্থায় আপনারা কেন খোলাখুলি আলোচনা করতে রাজি হচ্ছেন না?”
ভাইস চেয়ারম্যান হরিবন্স ডেরেক ও’ব্রায়ানের চাপের মুখে কার্যত নিরুত্তর থাকতে বাধ্য হন৷ বুধবার রাজ্যসভায় এপিক ইস্যুতে আলোচনার দাবি জানিয়ে নোটিশ জমা দেন আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা৷ তাঁকে সমর্থন জানায় তৃণমূল কংগ্রেস, সপা, ডিএমকে, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা-সহ অন্যরা৷ বিরোধীদের নোটিশ খারিজ করেন ভাইস চেয়ারম্যান৷ এর পরেই রাজ্যসভা থেকে ওয়াক আউট করে বিরোধী শিবির৷ সংসদের উচ্চকক্ষের বাইরে বেরিয়ে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, “শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, বিরোধী শাসিত বহু রাজ্যেই একইরকমভাবে জাল, ভুয়ো ভোটার কার্ড তৈরি করা হচ্ছে৷ এমন কত কার্ড দেশে ছড়িয়ে আছে, তার কোনও হিসেব আমাদের দেয়নি নির্বাচন কমিশন৷ এটা ওদের কর্তব্যে গাফিলতি৷ দেশের স্বাধীনতার পরে এমন ঘটনা ঘটেনি৷”
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1900186686774284605?s=19
পাশাপাশি একই সুরে নির্বাচন কমিশনকে একহাত নেন তৃণমূলের রাজ্যসভার ডেপুটি লিডার সাগরিকা ঘোষ৷ বলেছেন, “নির্বাচন কমিশন তথ্য গোপন করছে, আমাদের সব তথ্য দিচ্ছে না৷ এই ইস্যুতে একজোট বিরোধী দলগুলি৷” লোকসভার তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদের দাবি, সংসদের দুই কক্ষেই আলোচনা হোক ডুপ্লিকেট এপিক কার্ড নিয়ে। নির্বাচন কমিশন কি বিজেপির ভাষাই বলছে? সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি।