প্রতিবেদন : দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে ভয়াবহ জাতিহিংসায় উত্তপ্ত মণিপুর। উত্তর-পূর্বের এই বিজেপিশাসিত রাজ্যে ইতিমধ্যেই কয়েকশো মানুষের প্রাণহানি হয়েছে দাঙ্গার জেরে। বহু বহু মানুষ এখনও গৃহহীন। পরিস্থিতি সামলাতে পুরোপুরি ব্যর্থ সে রাজ্যের বিজেপিশাসিত সরকার। আর এবার অশান্তি আঁচ ছড়াল উত্তর-পূর্বের আরও একটি ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্য অরুণাচল প্রদেশে।(Arunachal Pradesh) পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।৪৬ বছরের পুরনো ধর্মান্তরণ বিরোধী আইন নিয়ে বেড়েই চলেছে খ্রিস্টান এবং হিন্দু জনজাতি সংগঠনের রেষারেষি।
Read More: মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের সময়ে অভব্য আচরণ! ফের কাগজ ছিঁড়ে বিধানসভায় ওয়াক আউট বিজেপি বিধায়কদের
বিগত ১৯৭৮ সালে অরুণাচলে(Arunachal Pradesh)ধর্মান্তরণ প্রতিরোধ আইন পাশ হয়েছিল। কিন্তু তার পর থেকে কোনও সরকারই সেই আইনের ‘বিধি’ তৈরি করেনি। আরএসএসের জনজাতি সংগঠন ‘বনবাসী কল্যাণ আশ্রম’ দীর্ঘদিন ধরে এই আইন কার্যকর করার দাবি জানিয়ে আসছে। সংঘের ওই সংগঠনের দাবি, ধর্মান্তরণ প্রতিরোধ আইন কার্যকর হয়ে গেলে আদিবাসীদের ধর্মান্তরণ নাকি রুখে দেওয়া যাবে।

প্রায় সাড়ে ৯ বছর অরুণাচল প্রদেশে(Arunachal Pradesh)বিজেপির সরকার। কিন্তু সংঘের অনুকুলের সরকার থাকা সত্ত্বেও ধর্মান্তরণ প্রতিরোধ আইন এখনও উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে কার্যকর হয়নি। ২০১৬ সাল থেকে পেমা খাণ্ডুর সরকার অরুণাচল শাসন করছে। মুখ্যমন্ত্রী বারবার দাবি করা সত্ত্বেও বাস্তবে এই আইনের বিধি তৈরি হয়নি। কিন্তু, ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর গুয়াহাটি হাই কোর্টের ইটানগর বেঞ্চ আগামী ৬ মাসের মধ্যে ওই আইনের ‘বিধি’ প্রণয়ন করার নির্দেশ দিয়েছে। ফলে চাপ বাড়ছে সরকারের উপর।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1899740969907745044?s=19
প্রসঙ্গত, আদালতের রায়ের পর অরুণাচলের(Arunachal Pradesh)খ্রিস্টানদের সংগঠন অরুণাচল খ্রিস্টান ফোরাম ইটানগরে প্রবল বিক্ষোভ দেখিয়েছে। ওই সংগঠনের সভাপতি তারাহ মিরির দাবি, দুই লক্ষের বেশি সংখ্যালঘু এই আইন কার্যকর করার বিরোধিতায় পথে নেমেছিলেন। তাঁদের দাবি, এই আইন কার্যকর হয়ে গেলে খ্রিস্টানদের ক্ষতি হবে। পালটা পথে নামছে সংঘের সংগঠন ‘বনবাসী কল্যাণ আশ্রম’ও। পালটা ওই আইন কার্যকর করার দাবিতে সরব তারা। সংঘের সংগঠন কার্যত বিজেপি সরকারের উপরই চাপ সৃষ্টি করছে, যাতে দ্রুত ওই আইনের বিধি প্রণয়ন করা হয়। যদিও বিশৃঙ্খলার ভয়ে এখনও কোনও পদক্ষেপ নিতে পারেনি সে রাজ্যের সরকার। ফলত ক্রমেই মাথাচাড়া দিচ্ছে অশান্তির সম্ভাবনা।