বাংলার ঘরে ঘরে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতে বরাবরই বিশেষ যত্নশীল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ইতিমধ্যেই ৯৫ লক্ষ বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ দিয়েছে রাজ্য। ফলত কেন্দ্রের দেওয়া সময়সীমার অনেক আগেই বাংলার ১ কোটি ৭৫ লক্ষ বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়ার কাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী প্রশাসনিক মহল। আগামী একবছরের মধ্যেই এই প্রকল্পের অধিকাংশ কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কেন্দ্রীয় বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ প্রদান প্রকল্পের কাজের মেয়াদ ২০২৮ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু ইতিমধ্যে রাজ্যের ৯৫ লক্ষ বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ দিয়ে দিয়েছে রাজ্য। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের (পিএইচই) বাজেট বরাদ্দ এক ধাক্কায় ১১ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে রাজ্য বাজেটে। অঙ্কটি গতবছরের চেয়ে ৭ হাজার কোটি টাকা বেশি।
‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছে পিএইচই। এই প্রকল্পে পরিকাঠামো উন্নয়ন বা বাড়ি বাড়ি সংযোগ দেওয়ার কাজের অর্ধেক খরচ বহন করে কেন্দ্র। জলের পাইপ নিয়ে যাওয়ার বাকি খরচ, প্রয়োজনীয় জমির দাম মেটানো থেকে শুরু করে রক্ষণাবেক্ষণ পর্যন্ত বিপুল অর্থ রাজ্যকেই বহন করতে হয়। তা সত্ত্বেও গত পাঁচমাস কোনও রাজ্যকেই নিজের অংশের একটি টাকাও দেয়নি মোদী সরকার! গ্রাম বাংলার মানুষকে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ সুনিশ্চিত করতে এগিয়ে এসেছে রাজ্যই। সূত্রের খবর, মোট বরাদ্দের বেশিরভাগই ‘মূলধনী ব্যয়’ বা পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতে ব্যয়ের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগেই যে নবান্ন রাজ্যের অধিকাংশ বাড়িতে জলের সংযোগ পৌঁছে দিতে চাইছে, রাজ্যের এহেন ভূমিকায় তা স্পষ্ট।
প্রসঙ্গত, বাংলাকে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে ১০১০ কোটি টাকা পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। তারপর থেকে এই প্রকল্পে আর একটি টাকাও পাঠায়নি নয়াদিল্লী। রাজ্য অর্থদফতরের হিসেব অনুযায়ী, চলতি অর্থবর্ষে এই প্রকল্পে কেন্দ্র এবং রাজ্য মিলিয়ে সর্বমোট প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হওয়ার কথা। আগস্টের বরাদ্দ মিলিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত ২,৫২৫ কোটি টাকা কেন্দ্র দিয়েছে। একইসঙ্গে তার সমান্তরাল টাকা ছেড়েছে রাজ্য অর্থদফতরও। এছাড়া ২৬ সেপ্টেম্বর আরও ১,২৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য। কেন্দ্রীয় বাজেটে এই প্রকল্পের সময়সীমা আরও চারবছর বাড়ানো হলেও অর্থবরাদ্দ সংক্রান্ত বার্তা এখনও এসে পৌঁছয়নি রাজ্যের কাছেঌ