মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশজুড়ে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে নারীসুরক্ষা। বিজেপি মুখে যতই বড় বড় কথা বলুক না কেন, মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে তারা যে পুরোপুরি ব্যর্থ, তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে একাধিক ক্ষেত্রে। ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্যগুলিতে প্রায় প্রত্যহই নারীনির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। আর এবার বিজেপিশাসিত ছত্তিশগড়ে আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণের পর মাথা থেঁতলে খুনের ঘটনা ঘটল! বিশেষ আদালত মোট ছ’জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। পাঁচ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ষষ্ঠ অভিযুক্তকে যদিও যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ছত্তীসগঢ়ের এক ১৬ বছরের আদিবাসী নাবালিকাকে সাঁতরাম মাঞ্ঝওয়ার নামের এক প্রৌঢ় বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। তিনি বিবাহিত ছিলেন। নাবালিকার পরিবার বিয়েতে রাজি না হওয়ায় সঙ্গীদের নিয়ে তাদের বাড়িতে চড়াও হন ওই অভিযুক্ত। ছ’জন মিলে তাকে গণধর্ষণ করেন। এখানেই শেষ নয়, রাগের মাথায় পাথর দিয়ে থেঁতলে দেন নাবালিকার মাথা। দেহ ফেলে দেওয়া হয় জঙ্গলে। মৃতার ৬০ বছরের বাবাকেও খুন করেন অভিযুক্তেরা। মেরে ফেলা হয় পরিবারের চার বছরের এক শিশুকন্যাকেও।
রায় ঘোষণার সময়ে ছত্তিশগড়ের আদালতের বিচারক মমতা ভোজওয়ানি জানান, “এই ঘটনা অমানবিক, নিষ্ঠুর। নিজেদের লালসা চরিতার্থ করার জন্য ওরা এতগুলো নিষ্পাপ প্রাণ শেষ করেছে। এটি বিকৃত, নৃশংস এবং কাপুরুষোচিত মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।” এরপরেই সাঁতরাম ও তাঁর সঙ্গী ২৪ বছরের অনিলকুমার সারথি, ৩৪ বছরের আব্দুল জব্বর, ৩৯ বছরের পরদেশি রাম এবং ২৬ বছরের আনন্দরাম পানিকাকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেন তিনি। ষষ্ঠ অভিযুক্ত ২৬ বছরের উমাশঙ্কর যাদবকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়নি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইন ছাড়াও ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় রুজু করা হয় মামলা।
