কেটে গিয়েছে বছরের পর বছর। তবুও বিন্দুমাত্র বদলায়নি পরিস্থিতি। বাংলার প্রতি মোদী সরকারের দুয়োরানিসুলভ আচরণ রয়ে গিয়েছে সেই একইরকম। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির ভরাডুবির পর থেকে তা বেড়েছে আরও। বাংলাকে দীর্ঘদিন ধরেই বঞ্চনা করে আসছে কেন্দ্র। মনরেগা প্রকল্পের আওতায় ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাংলার প্রাপ্য ন্যায্য টাকা আটকে রাখা হয়েছে। এর মধ্যেই প্রকাশ্যে এল নতুন তথ্য। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানই জানাচ্ছে, এ-রাজ্যের রেশনের কেন্দ্রীয় বরাদ্দের ভর্তুকি শূন্য। সাংসদ মালা রায় ও দেবের তোলা প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রের খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগ যে তালিকা পেশ করেছে, তা অনুযায়ী দেশের মধ্যে বাংলাই একমাত্র রাজ্য যার খাতে গত আর্থিক বছরে কোনও অর্থই বরাদ্দ হয়নি! স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে সূত্রপাত হয়েছে বিতর্কের।
প্রসঙ্গত, দুই তৃণমূল সাংসদের প্রশ্ন ছিল যে কেন্দ্রের ক্রেতা সুরক্ষা ও খাদ্য সরবরাহ দফতরের পক্ষ থেকে কোনও রাজ্যের কোনও বরাদ্দ বকেয়া রয়েছে কিনা এবং সেই বকেয়া কবে মিটিয়ে দেওয়া হবে। উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিমুবেন বম্ভানিয়া দাবি করেন, খাদ্য ও সরবরাহ দফতর রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কোনও বকেয়া রাখে না। রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে তাদের চাহিদা অনুযায়ী প্রতি বছরের বরাদ্দের তালিকা তৈরি হয়। একই সঙ্গে সব রাজ্যকে দেওয়া কেন্দ্রীয় বরাদ্দের তালিকাও পেশ করে দফতর। কেন্দ্রের তরফে প্রকাশিত সেই তালিকা বলছে, বাংলার রেশন খাতে ২০২১-’২২, ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষে টাকা বরাদ্দ হলেও ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে সেই তালিকা ফাঁকা রয়েছে। তারপরও কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করছে, কোনও রাজ্যের কোনও বকেয়া নেই। অর্থাৎ বাংলা ছাড়া আর কোনও রাজ্যকেই এভাবে বঞ্চনার খাতায় ফেলেনি মোদী সরকার, তা ২০২৪ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত দেওয়া এই তথ্যেই জলের মতো পরিষ্কার।
