মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশজুড়ে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে নারীসুরক্ষা। বিজেপি মুখে যতই বড় বড় কথা বলুক না কেন, মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে তারা যে পুরোপুরি ব্যর্থ, তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে একাধিক ক্ষেত্রে। বিজেপিশাসিত ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্যগুলিতে প্রায় প্রত্যহই নারীনির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। রেহাই পাচ্ছেন না বৃদ্ধা ও নাবালিকারাও। এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক? মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী
কমিটির বৈঠকে এমনই প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন-সহ সরকারি আমলাদের তুলোধোনা করেছেন কাকলি৷ সূত্রের দাবি, স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সামনে এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে প্রেজেন্টেশন দিচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব ও তাঁর অধীনস্থ আমলারা৷ সেই সময়েই ৬৯ পাতার প্রেজেন্টেশন পুস্তিকায় মহিলা নিরাপত্তা নিয়ে উল্লিখিত ৫ পাতার প্রেজেন্টেশনকে এড়িয়ে যাওয়া হয়৷ এটাই ধরে ফেলেন দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার৷ বৈঠকের মাঝেই চিত্কার করে মহিলা নিরাপত্তা নিয়ে প্রেজেন্টেশনের দাবি জানান তিনি৷ তাঁর দাবির সূত্রেই একজোট হয়ে কমিটির সদস্য বিরোধী সাংসদরা মোদী সরকারের আচরণের তীব্র নিন্দা করেন।
প্রসঙ্গত, এদিন সময়ের অভাবের কারণ দেখিয়ে গোটা বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন কেন্দ্রীয় আমলারা৷ তখন ফের সোচ্চার হন কাকলি ঘোষ দস্তিদার৷ কেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর শূন্য পদে নিয়োগ হচ্ছে না? কেন বাংলাকে পুলিশ আধুনিকীকরণ খাতে তার বরাদ্দ ৫০০ কোটি টাকা প্রদান করা হচ্ছে না? কেন রাজ্য পুলিশের ডিজিদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে না? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে প্রশ্ন করেন কাকলি। মোদী সরকার যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর তোয়াক্কা করছে না, এই বলেই সরাসরি কেন্দ্রকে একহাত নেন তিনি। মণিপুরের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য এক বছরের বেশি সময় ধরে জাতিদাঙ্গায় উত্তপ্ত। এতকিছুর পরেই কেন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কেন্দ্র? প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ তৃণমূল সাংসদের তোপের মুখে পড়ে বিপাকে পড়েন সরকারি আমলারা৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রসচিব আশ্বাস দেন, কমিটির পরবর্তী বৈঠকে এই বিষয়ে দেওয়া হবে বিস্তারিত তথ্য।