আরও একবার সংসদে মোদী সরকারকে কড়া প্রশ্নবাণে বিঁধল বিরোধী দলগুলি। ৩২ হাজার কোটি টাকারও বেশি কেন্দ্রীয় ভাঁড়ারে পড়ে রইলেও রাজ্যগুলিকে তার প্রাপ্য অংশ দেওয়া হচ্ছে না কেন? প্রশ্ন তুলল তারা। যার জেরে শুক্রবার সংসদীয় কমিটির বৈঠক উত্তাল হল। এমনকী জিএসটি চালু হলেও তার উদ্দেশ্য সফল হয়নি বলে উঠল অভিযোগ। অডিট সংস্থা ক্যাগ বারবার অর্থমন্ত্রকের কাছে তথ্য চেয়েও কেন পাচ্ছে না, তা নিয়েও সমালোচনার মুখে পড়তে হল কেন্দ্রকে। বিশেষ সূত্রে খবর, কংগ্রেস এমপি কে সি বেণুগোপালের সভাপতিত্বে সংসদের ‘পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি’ তথা পিএসি’র বৈঠকে বিরোধীরা তো বটেই, বিজেপির সাংসদরাও অস্বস্তিতে ফেললেন কেন্দ্রীয় রাজস্ব সচিব সঞ্জয় মালহোত্রা সহ অর্থমন্ত্রকের আধিকারিকদের। এদিনের বৈঠকে ইস্যু ছিল, ‘পরোক্ষ কর-জিএসটি।’ ক্যাগের দেওয়া ২০২৪ সালের একটি রিপোর্টই ছিল বিরোধীদের হাতিয়ার।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের পক্ষে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সৌগত রায় এবং সুখেন্দুশেখর রায়। তাঁদের প্রশ্ন, রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দিতে কেন দেরি হচ্ছে? কর আদায়ই বা এত কম কেন? আইজিএসটি অর্থাৎ এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে ব্যবসার কর আদায়ে জমা অর্থ নিয়েও তাঁরা চেপে ধরেন। ক্যাগ রিপোর্টেই প্রকাশিত হয়েছে যে, ২০১৮-১৯ থেকে ২০২১-২২, এই চার অর্থবর্ষে আইজিএসটি বাবদ কেন্দ্রের কাছে জমা হয়েছে ৩২ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা। সেই অর্থ কেন্দ্রের কনসলিডেটেড ফান্ডে পড়ে আছে। সেই টাকার প্রাপ্য অংশ কেন রাজ্যকে দেওয়া হচ্ছে না? কেন বঞ্চনার শিকার হচ্ছে রাজ্যগুলি? কেন্দ্র-রাজ্য কে কত পাবে, সেই ভাগাভাগি পর্যন্ত কেন হয়নি? প্রশ্ন তোলেন সুখেন্দুশেখর রায়। সূত্রে খবর, কোনও উপযুক্ত জবাব সচিব দিতে পারেননি। অন্যদিকে, বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জিএসটি রূপায়ণের সমালোচনা করেন। বলেন, জিএসটি চালু হলে কেন্দ্র এবং রাজ্য, উভয়েরই রাজস্ব বাড়বে বলেই আশা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না। তবে কি কোথাও জিএসটি আদায়ে ফাঁক থেকে যাচ্ছে? জিএসটি আদায়ের ক্ষেত্রেও সরকারি ব্যবস্থায় দুর্বলতা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন আর বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে।