এবার বিশ্বের কোণায় কোণায় পৌঁছে যাবে বাংলার হস্তশিল্পের ঐতিহ্যময় উৎকর্ষ। রাজ্যের গ্রামীণ শিল্পীদের বানানো বিভিন্ন হস্তশিল্প সামগ্রী এবার পাড়ি দিতে চলেছে দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও। অনলাইনে বিশ্বের যেকোনও জায়গা থেকে কেনাকাটা করা যাবে সেই শিল্পসামগ্রী। রাজ্যের ‘সৃষ্টিশ্রী’ প্রকল্পের আওতায় জনপ্রিয় হস্তশিল্পগুলির বিপণন, প্যাকেজিং ও বাজারজাত করার উদ্যোগ নিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এজন্য নেওয়া হবে পেশাদার সংস্থার সহায়তাও। পেশাদার সংস্থাকে দিয়েই ধনেখালি তাঁত এবং জামদানি-সহ বাংলার লোকশিল্পীদের বানানো মোট সাত ধরনের হস্তশিল্প সামগ্রীকে নতুন মোড়কে বাজারে নিয়ে আসার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। অনলাইন বিপণন ছাড়াও দেশ-বিদেশের বড় বড় বিমানবন্দর এবং রেল স্টেশনে সৃষ্টিশ্রীর আউটলেট খোলা হবে। সেখানে এইসব পণ্যের প্রদর্শনী ও বিপণনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে সূত্র।
এপ্রসঙ্গে রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, হস্তশিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত রাজ্যের কয়েক লক্ষ মানুষ বিশেষ করে মহিলাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের ঐতিহ্যকে বিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই মূল লক্ষ্য সরকারের। শুধু ধনেখালি তাঁত বা জামদানিই নয়, উত্তর দিনাজপুরের ডোকরা, পূর্ব মেদিনীপুরের পটচিত্র, ঝাড়গ্রামের সাবাই ঘাসে তৈরি সামগ্রী, মালদহের আম, আচার, আমসত্ত্ব, দার্জিলিংয়ের মোমবাতি, সাবান এবং সুগন্ধী তেল, তালিকায় রয়েছে কত কিছু! বিদেশে যে সব বড় বড় প্রদর্শনী ও মেলা হয়, সেখানেও এখন থেকে বাংলার হস্তশিল্পের স্টল দেওয়া হবে। এজন্য সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিদেশের টিভি চ্যানেলে দেওয়া হবে বিজ্ঞাপন। আন্তর্জাতিকমানের সামগ্রী তৈরিতে হস্তশিল্পীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বিপণনের জন্য তৈরি করা হবে ‘চেন সিস্টেম’। সেই লক্ষ্যেই দেশ-বিদেশের নামী কিছূ বিপণন সংস্থার সঙ্গেও চুক্তি করতে চলেছে রাজ্য।