ফের আতঙ্ক ছড়াল জম্মু ও কাশ্মীরে। এবার ভূস্বর্গে তীর্থযাত্রীদের বাসে হামলার দায় নিল লস্কর-ই-তইবা। জানা গিয়েছে, পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনটির অন্যতম প্রধান শাখা দ্য রেজিস্টেন্স ফ্রন্ট এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। আগামী দিনে এমন আরও হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে জঙ্গি সংগঠনটি। এই হামলার নীল নকশা তৈরি করেছিল নাকি তৈরি করছিল লস্কর কমান্ডার আবু হামজাই। রবিবার সন্ধেবেলা শিব কিশোরী মন্দির থেকে তীর্থযাত্রী বোঝাই বাসটি কাটরার দিকে যাচ্ছিল। এই কাটরা থেকেই বৈষ্ণোদেবীর যাত্রা শুরু হয়। বাসটি রেয়াসিতে পৌঁছনোর পরেই আশেপাশের জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা বেরিয়ে আসে। গুলি চালাতে শুরু করে বাস লক্ষ্য করে। লাগাতার গুলিবৃষ্টির মধ্যে বাসটি পাহাড়ের খাদে পড়ে যায়। ইতিমধ্যেই ১০ তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে আহত অবস্থায় আরও ৩৩ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কাশ্মীরে যখন এই হামলা হচ্ছে সেই সময়ে দিল্লীতে রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিচ্ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর, শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানের সময়টাকেই নিশানা করেছিল জঙ্গিরা। যেন রাজধানী পর্যন্ত বার্তা পৌঁছনো যায়, সেই জন্যই অনুষ্ঠানের সময়ে নাশকতা চালিয়েছে জঙ্গি সংগঠনটি। ঘটনার পরের দিন হামলার দায় স্বীকার করে বার্তা দিয়েছে লস্করের অধীনস্থ দ্য রেজিস্টেন্স ফ্রন্ট। তাদের আগাম হুঁশিয়ারি, আগামী দিনেও কাশ্মীরের বাসিন্দা এবং পর্যটকদের রক্ত ঝরবে। এই হামলা নাকি বড়সড় নাশকতার সূচনা মাত্র! জানা গিয়েছে, তীর্থযাত্রীদের বাসে হামলার জন্য তিনটি জায়াগায় লুকিয়ে ছিল সন্ত্রাসবাদীরা। তবে হামলা হয় বাসটি রেয়াসিতে পৌঁছনোর পরে। ভয়াবহ হামলার পরেই জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয়েছে যৌথ অভিযান। কাশ্মীর পুলিশের পাশাপাশি ভারতীয় সেনা এবং সিআরপিএফ, ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিও তল্লাশি শুরু করেছে। জঙ্গলের যে এলাকা থেকে হামলা হয়েছিল, সেখানে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চলছে। তবে এখনও জঙ্গিদের সন্ধান মেলেনি। সূত্রের খবর, রেয়াসি ছেড়ে পালিয়েছে জঙ্গিরা। সম্ভবত তিনজন সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়েছিল তীর্থযাত্রীদের বাসে, অনুমান করা হচ্ছে এমনটাই।