আস্থা অটুট। গত তিন বছরে সরকার ও দলের বিরুদ্ধে এত দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা সত্ত্বেও মমতা-অভিষেকেই আস্থা রাখল বাংলা। প্রায় সব ক’টি বুথ ফেরত সমীক্ষাকেই উল্টে দিয়ে রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২৯টিই দখল করল তৃণমূল। বিজেপির ঝুলিতে গেল ১২টি আসন। কংগ্রেস পেল মাত্রটি একটি।
গত বিধানসভা নির্বাচনে বিরাট জয়ের পর থেকেই একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। চাকরি থেকে রেশন ‘দুর্নীতি’, জেলে গিয়েছেন রাজ্যের কয়েক জন নেতা-মন্ত্রী। সেই দুর্নীতির অস্ত্রে শান দিয়ে লোকসভা ভোটে প্রচারের সুর বেঁধেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজ্যের নেতা শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারেরা। তার সঙ্গে জুড়ে ছিল সন্দেশখালির ‘ক্ষোভ’! কিন্তু ভোটে তার ছাপ দেখা গেল না। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতার জনআকর্ষণী ক্ষমতা, তাঁর সরকারের লক্ষ্মী ভান্ডার-সহ একাধিক জনমোহিনী প্রকল্প এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংগঠনিক ‘দক্ষতা’র উপর ভর করে লোকসভা ভোটের বৈতরণীও পার করল শাসকদল।
সন্দেশখালি যে লোকসভা আসনের মধ্যে পড়ে, সেই বসিরহাট কেন্দ্রেই তিন লাখের বেশি ভোটে জিতলেন তৃণমূল প্রার্থী হাজির নুরুল। হারলেন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। রেখা সন্দেশখালিরই ভূমিকন্যা। তাঁকে প্রার্থী করে শুধু বসিরহাট কেন্দ্র নয়, সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে গোটা রাজ্যেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচারে ঝড় তুলতে চেয়েছিল বিজেপি। তা যে কাজে এল না, ভোটের ফলাফলেই তা স্পষ্ট। যদিও সন্দেশখালি বিধানসভায় আট হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে ছিলেন রেখা।