গত বারের জয়ের ব্যবধানকে ছাপিয়ে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে ৬ লক্ষেরও বেশি ভোটে জয়ী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন কমিশনের তরফে এমন তথ্যই পাওয়া গিয়েছে।
অভিষেক দলের সেনাপতি। সম্প্রতি তৃণমূলের তরফেও আনুষ্ঠানিক ভাবে তা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। দলের অন্দরেই নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব, বিরোধীদের তরফ থেকে ‘দুর্নীতি’ এবং ‘পরিবারতন্ত্র’ নিয়ে খোঁচা— তার পরেও অবশ্য নিজের কাজে অবিচল থেকে গিয়েছেন অভিষেক। দলের সেনাপতি হিসাবে লোকসভা নির্বাচনে দলের প্রচার পরিকল্পনা, স্লোগান বাছাইয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। তৃণমূল সূত্রের খবর যে, লোকসভা নির্বাচনে দলের মূল স্লোগান ‘জনগণের গর্জন, বিরোধীদের বিসর্জন’-ও অভিষেকেরই মস্তিষ্কপ্রসূত।
দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি দীর্ঘ ভোটপর্বে দলের প্রার্থীদের সমর্থনে একের পর এক জনসভা করে গিয়েছেন অভিষেক। বাংলার প্রতি বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের ‘বঞ্চনা’ এবং ‘অবিচার’কে প্রচারে তুলে ধরেছিলেন তিনি। ভোটের ফল বলছে, কেন্দ্রের ‘জমিদার’দের বিরুদ্ধে আক্ষরিক অর্থেই ‘গর্জন’ করেছে জনতা। আর সেনাপতি অভিষেক লোকসভা ভোটে দলের ‘ক্যাপ্টেন’ হিসাবে সব জল্পনা, বুথফেরত সমীক্ষার ফল উড়িয়ে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য এনে দিয়েছেন তৃণমূলকে।
২০১৪ সালে প্রথম সাংসদ হন অভিষেক। যদিও তাঁর রাজনৈতিক যাত্রা শুরু ২০১৪ সালেরও বছর তিনেক আগে, ২০১১ সালে। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে ২০১১ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বছর। ৩৪ বছরের বাম শাসন বদলের বছর। সে বছর রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের হয়ে ভোটপ্রচারে নামতে দেখা গিয়েছিল অভিষেককে। ২০১১ থেকে ২০২৪— রাজনীতিতে এসেছেন, যুবনেতা থেকে নেতা হয়ে দলের অন্যতম মস্তিষ্ক হয়েছেন, ধর্নায় বসেছেন, সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছেন, ঘুরেও দাঁড়িয়েছেন। ৩৬ বছর বয়সি অভিষেকের তুলনা ইদানীং করা হয় রাজ্যের পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদদের সঙ্গে।