দেশজুড়ে চলছে লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে প্রথম চার দফার ভোটগ্রহণ পর্ব। বাকি রয়েছে আর তিন দফা। রাজ্যে সেই তিন দফায় ভোট হবে ২৪টি কেন্দ্রে। আর এই আসনগুলিতে জয় সুনিশ্চিত করাই লক্ষ্য রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের। পঞ্চম দফার ভোট ২০শে মে। সেদিন ভোট হবে বনগাঁ, বারাকপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, শ্রীরামপুর, হুগলি ও আরামবাগে। উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলিতে তৃণমূলের সংগঠন বেশ মজবুত। একুশের বিধানসভা নির্বাচন ও তার পরবর্তী পঞ্চায়েত ভোটে তিন জেলায় ভাল ফল করেছিল ঘাসফুল শিবির। উত্তর ২৪ পরগনায় শিল্পাঞ্চল ব্যারাকপুর। এবার এই অঞ্চলে তৃণমূল সাংগঠনিক দিক থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী। ব্যারাকপুর লোকসভা আসনের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে গত বিধানসভা ভোটের ফলের নিরিখে ছয়টিতে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল।
পাশাপাশি, হাওড়া ও উলুবেড়িয়া আসন দুটি ২০০৯ থেকে তৃণমূলের দখলে। উন্নয়ন এবং সাংগঠনিক শক্তির জোরে এবারও দুটি আসন তৃণমূল ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর। হুগলি জেলায় শ্রীরামপুর ও আরামবাগ আসন দুটি ঊনিশে তৃণমূল জিতেছিল, শুধুমাত্র হুগলি আসনটি পেয়েছিল বিজেপি। হুগলি আসনেও এবার জোড়াফুল ফুটতে চলেছে বলে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল। ওই আসনের সাতটি বিধানসভাই রয়েছে তৃণমূলের দখলে। ষষ্ঠ দফার ভোট তমলুক, কাঁথি, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও
বিষ্ণুপুরে। তৃণমূলের দাবি, দুই মেদিনীপুর এবং জঙ্গলমহল এলাকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে যে উন্নয়ন হয়েছে, তার সুফল ব্যাপকভাবে পেতে চলেছে জোড়াফুল। গত বিধানসভা নির্বাচনেও ওই এলাকায় ভালই ফল করেছিল তৃণমূল। সপ্তম বা শেষ দফার ভোট ১লা জুন। ওইদিন দমদম, বারাসত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ডহারবার, যাদবপুর, কলকাতা উত্তর ও কলকাতা দক্ষিণ আসনে ভোটগ্রহণ চলবে।