বিরোধীদের উদ্দেশে অশালীন মন্তব্য করাই হোক বা হুমকি দেওয়া থেকে কুকথার ফোয়ারা ছোটানো— সবেতেই গেরুয়া শিবিরের নেতা-নেত্রীদের জুড়ি মেলা ভার। আর সেই তালিকায় একদম ওপরের দিকেই নাম থাকে দিলীপ ঘোষের। লোকসভা ভোটের প্রাক্কালেও একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে চলেছেন তিনি। এবার যেমন হনুমান জয়ন্তীর সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে একের পর এক বেলাগাম মন্তব্য করলেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর নজরদারি চালানো লস্কর জঙ্গি রাজারাম রেগেকে নিয়ে হইচই পড়তে তাকেই এবার প্রচারের ইস্যু করলেন দিলীপ ঘোষ। নিরাপত্তাহীনতার দায় চাপালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরই! এদিন দুর্গাপুরের বি জোন বয়েজ মাঠে গদা নিয়ে প্রাতঃভ্রমণ সারেন বিজেপি প্রার্থী। তার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে ফের বিতর্কিত কথাবার্তা বলেন।
জঙ্গি নিশানায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সোমবার কলকাতা পুলিশ সাংবাদিক সম্মেলন করে এই খবরে প্রকাশ্যে আনার পর যথেষ্ট তোলপাড় হয়েছে রাজনৈতিক মহল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু তার জন্য দিলীপ ঘোষ দায়ী করলেন রাজ্য প্রশাসনকেই। মঙ্গলবার প্রাতঃভ্রমণের পর তাঁর বক্তব্য, নির্বাচনের আর কোনও ইস্যু নেই। এখন প্রাণের ভয়, তাই পুলিশকে ফিট করেছে। এর পর দুর্গাপুরের আশিস মার্কেটে বিজেপি নেতা, কর্মীদের সঙ্গে ‘চায়ে পে চর্চা’য় যোগ দিয়ে দিলীপ ঘোষ আরেকপ্রস্ত আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে। তাঁর কথায়, ‘ মুখ্যমন্ত্রীর জলে ডুবে মরা উচিত। ৫০ বছর রাজনীতি করার পরে শেষ জীবনে ‘চোর’ স্লোগান শুনতে হচ্ছে। এ জীবন রেখে কী লাভ? দিলীপ ঘোষ অশ্বত্থ গাছের নিচে দাঁড়িয়ে বলছে, ডুবে মরো।’