লোকসভা নির্বাচন গোটা দেশে শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রথম দফায় বেশ কয়েকটি রাজ্যে ভোট হয়ে গিয়েছে। এবার আসন্ন দ্বিতীয় দফা। আগামী ২৬ এপ্রিল তা হবে। সুতরাং হাতে সময় বলতে আর তিন দিন। তারপরই দ্বিতীয় দফার লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব।
এই আবহে গান্ধীনগরে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই মনোনয়নপত্রে হলফনামা দিয়ে দাবি করা হয়েছে, অমিত শাহ এবং তাঁর স্ত্রী সোনালের মিলিত সম্পত্তি প্রায় ৬৬ কোটি টাকা। এমনকী সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে শাহের নিজস্ব কেনা কোনও গাড়ি নেই। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি যাঁর আছে তিনি অন্যের বিষয়ে কথা বলেন কেমন করে! এই নিয়ে সমালোচনাও হচ্ছে। এই হলফনামা থেকে জানা যাচ্ছে, ২০২২–২৩ অর্থবর্ষে অমিত শাহের আয় হয়েছিল ৭৫.০৯ লাখ টাকা এবং স্ত্রী আয় করেছিলেন ৩৯.৫৪ লাখ টাকা। আর মোট সম্পত্তির ৫৭ শতাংশ শেয়ার বাজারে রয়েছে। এবার গান্ধীনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অমিত শাহ। গত ১৯ এপ্রিল মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিনি। সেখান থেকে গোটা তথ্য সামনে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে ৬৫.৬৭ কোটি টাকার সম্পত্তি মোট রয়েছে শাহ এবং তাঁর স্ত্রীর নামে। আর তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, শেষ পাঁচ বছরে ৩০.৪৯ কোটি টাকা সম্পত্তি বেড়েছে।
এদিকে অমিত শাহের অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে মনোনয়নপত্রে। তাতে দেখা যাচ্ছে, নগদ থেকে শুরু করে ব্যাঙ্কে সঞ্চিত সম্পদ, স্থায়ী আমানত, সোনা, রূপো এবং পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির পরিমাণ যোগ করলে দাঁড়িয়েছে ২০.২৩ কোটি টাকা। শেয়ার রয়েছে তাঁর নামে ১৭.৪৬ কোটি এবং মূল্যবান গয়না রয়েছে ৭২.৮৭ লাখ টাকার। তবে নিজস্ব কেনা কোনও গাড়ি নেই বলেই হলফনামা দিয়ে দাবি করা হয়েছে। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই সম্পত্তি প্রকাশ্যে আসার পর নানা মহলে আলোচনা চলছে। এবার আসা যাক স্ত্রী সোনাল শাহের সম্পত্তির হিসাবে। তাঁর অস্থাবর সম্পত্তি ছাড়িয়েছে ২২.৪৬ কোটি টাকা। তাতে নগদ থেকে শুরু করে ব্যাঙ্কে সঞ্চিত সম্পদ, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ–সহ নানা বিষয় রয়েছে।
অন্যদিকে সোনাল শাহের সোনা–রূপোর গয়নার পরিমাণ রয়েছে ১.১০ কোটি টাকা। আর অমিত শাহের স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ১৬.৩১ কোটি টাকা। তার মধ্যে রয়েছে— চাষের জমি, খাস জমি, প্লট এবং বাসস্থান। এগুলি সবই রয়েছে ভাদনগর, দাসক্রই, আশ্রম রোড, থালতেজ এবং গান্ধীনগরে। আর স্ত্রী সোনাল শাহের স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৬.৫৫ কোটি টাকা। সেটা নানা জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। অমিত শাহের বিরুদ্ধে এখনও তিনটি মামলা রয়েছে। যা বিচারাধীন।