সাম্প্রতিক কালে শিবরাত্রির সলতের মতোই অস্তিত্বের জানান দিচ্ছিল ত্রিপুরা সিপিএম। অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ায় কার্যত পরগাছার মত কংগ্রেসকে আঁকড়ে ধরেছিল তারা। যার ফলস্বরূপ প্রথম দফার ভোটগ্রহণ পর্বে এবার ‘হাত’ চিহ্নেই ভোট দিতে হল সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য তথা ত্রিপুরার পাঁচবারের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে। শুক্রবার, ভোটও দিলেন কংগ্রেসের হাত চিহ্নে! সারাজীবন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই আন্দোলন করে ২৫ বছর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মানিক। কিন্তু ইন্ডিয়া জোটের স্বার্থে এবার তাঁর কেন্দ্রে কংগ্রেস আশিস কুমারকে প্রার্থী করেছে। ফলে তাঁকেই ভোট দিতে হল একসময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী মানিক সরকারকে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক দশক ধরে ত্রিপুরার কমিউনিস্টদের সকাল আর সান্ধ্য চায়ের আড্ডায় ঘৃণার বস্তু ছিল কংগ্রেস। ঘৃণার পাত্র ছিল কংগ্রেসের এক একটি মুখ। কংগ্রেসের এক একজন নেতা নাকি এদের কাছে ছিলেন ধর্ষক তথা ক্রিমিনাল। কিন্তু শেষপর্যন্ত সমস্ত বিবেক সর্বকালের আদর্শ সর্বকালের বিশ্বাসকে বিলোপ করে, ধ্বংস করে মানিকবাবুকে ওইসব ঘৃণার পাত্রদের কাছেই আত্মসমর্পণ করতে হল! আদর্শের জন্য নয়, শুধুমাত্র ক্ষমতার জন্য! একেই বোধহয় বলা হয় দর্পচূর্ণ। দম্ভের পতন। যদিও এর জন্য মোটেও অনুতপ্ত নন তিনি। মানিকের সাফাই, গণতন্ত্রের স্বার্থেই তাঁর এই ভোট।