শুক্রবার থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। গতকাল প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছে রাজ্যের ৩ কেন্দ্র— কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে। এবারের ভোটে কোচবিহারের শীতলখুচিতে নজর ছিল সকলের। গত কয়েকদিনের ভোট প্রচারে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যেও বারবার এই শীতলখুচি প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। শুক্রবার সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তপ্ত ছিল কোচবিহারের ওই এলাকা। এমনকী ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পরও অশান্ত থাকে শীতলখুচি। অভিযোগ, স্কুলে যাওয়া ইভিএম লুট করার চেষ্টা করা হয়েছে। ওই সময় বোমা হামলাও চালানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিচার্জ করে। পরে ঘটনাস্থলে থেকে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। বিজেপি কর্মীরা ইভিএম লুট করার চেষ্টা করেছে, তৃণমূলের তরফে এই অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
গতকাল সকালে শীতলখুচির ছোট শালবাড়ি এলাকায় ভোট পর্বে সংঘর্ষ বাধে তৃণমূল বিজেপির। রাজ্যের শাসক দলের অভিযোগ, ছোট শালবাড়ির ২৮৬ নম্বর বুথে তৃণমূলের সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছে বিজেপি। ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ। অন্যদিকে, কোচবিহারের হাটা এলাকায় নির্বাচন শেষ হওয়ার পরেও হিংসা থামছে না। দিনহাটার ১ নম্বর ব্লকের সিতাই এলাকায় বিজেপির বুথ সভাপতি বুদা রায়ের ওপর মারাত্মক হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আবার, গতকাল শেষ লগ্নে এসে ভোটগ্রহণ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভার একটিয়াশাল এলাকায়। তিলেশ্বরী অধিকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পরও এক ব্যক্তি ফের ভোট দিতে গিয়ে ধরা পড়েন। এরপরই তিনি এলাকা ছেড়ে পালান।