বহু টালবাহানার পর লোকসভা ভোটে দিল্লিতে আম আদমি পার্টি ও কংগ্রেসের মধ্যে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হয়েছে। সাতটি আসনের তিনটিতে কংগ্রেস এবং চারটিতে আপ লড়াই করছে। কিন্তু কেজরিওয়াল জেলে যাওয়ার অনেক আগে এই বোঝাপড়া তৈরি হলেও যৌথ প্রচারের কিন্তু নামগন্ধ নেই। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে রাজধানীর রামলীলা ময়দানের সভায় ইন্ডিয়া জোটের শীর্ষ নেতারা হাজির ছিলেন। কেজরিওয়াল পত্নী সুনীতার সঙ্গে সেদিন মঞ্চে দীর্ঘ সময় কথা বলেন সোনিয়া ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কেজরিওয়ালের গ্রেফতার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে রাহুল গান্ধীও মঞ্চের পিছনে আপ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
জানা যাচ্ছে, সেই সভাই শুরু এবং শেষ। তারপর থেকে কেজরির মুক্তির দাবিতেও দুই দলের যৌথ কর্মসূচি নেই। হচ্ছে না যৌথ নির্বাচনী প্রচারও। যৌথ প্রচার যে সম্ভব হচ্ছে না তা মেনে নিয়েছেন আপের শীর্ষ নেতা সঞ্জয় সিং। প্রথমসারির নেতাদের মধ্যে সঞ্জয়ই আছেন যিনি ধারাবাহিকভাবে রাজনীতিতে যুক্ত এবং কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যাঁর যোগাযোগ আছে। সূত্রের খবর, কেজরিওয়াল পত্নী এবং দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অরবিন্দ সিং লাভলি যৌথ প্রচারের জন্য একত্রে বিবৃতি দিতে পারেন।