এবার বিজেপি-কংগ্রেসকে একই বন্ধনীতে রেখে তুমুল আক্রমণ মমতার৷ জলাপাইগুড়ির সভা থেকে সরাসরি ইন্ডিয়া জোটের শরিক কংগ্রেসকে নিশানা করে ভয়ঙ্কর অভিযোগ আনলেন তৃণমূলনেত্রী৷ পরিষ্কার বললেন, ‘‘বিজেপি-কংগ্রেস এরা রাতের অন্ধকারে বসে বসে আন্ডারস্ট্যান্ডিং করে। এটা নতুন নয়,পঞ্চায়েত,মিউনিসিপালিটিতে তো দেখেছেন।’’
লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে একটা ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক মঞ্চ তৈরি করতেই জন্ম হয়েছিল ইন্ডিয়া জোটের৷ যার অন্যতম হোতা ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেখানে যেমন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের আঞ্চলিক দলগুলি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, ঠিক তেমনই যোগ দিয়েছিল কংগ্রেস এবং বাম দলগুলি৷
প্রথম দিকে জোটের গতি ভালভাবে এগোলেও আসন সমঝোতার প্রশ্ন উঠতেই খেল ধাক্কা৷ ছিটকে গেলেন নীতীশ৷ বাংলায় মমতা জানিয়ে দিলেন, ‘বাম-কংগ্রেসকে একটাও ভোট নয়৷’এমনকি, রাহুলের দ্বিতীয় ভারত জোড়ো যাত্রার পশ্চিমবঙ্গে আসা নিয়েও জোট শরিক হিসাবে কোনও সহযোগিতা দেখায়নি তৃণমূল৷ বারবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়া স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, বঙ্গে কোনও জোট হচ্ছে না৷ এখানে একাই ভোট লড়বে তৃণমূল৷
এই পর্যন্ত সকলের জানাই ছিল৷ কিন্তু, শনিবার জলপাইগুড়ির ফুলবাড়ির সভামঞ্চ থেকে সরাসরি কংগ্রেস-বিজেপির বিরুদ্ধে গোপন সমঝোতার বিতর্ক উস্কে দিলেন তৃণমূল নেত্রী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘‘আজ বাংলার চৈত্র সংক্রান্তি৷ বিজেপি-র সংক্রান্তি হবে বাংলা থেকেই। ইন্ডিয়া-রটা আমি বুঝে নেব। দিল্লিতে আমরা সরকার গড়তে সাহায্য করব৷ বিজেপি-কংগ্রেস এরা রাতের অন্ধকারে বসে বসে আন্ডারস্ট্যান্ডিং করে। এটা নতুন নয়,পঞ্চায়েত,মিউনিসিপালিটিতে তো দেখেছেন। ’’
‘ইন্ডিয়া’ নিয়ে মমতা বলেন, ‘‘কেন্দ্রে আমরা সরকার গড়তে সাহায্য করব। কিন্তু বাংলায় একটি ভোটও সিপিএম বা কংগ্রেসকে নয়। দেশের ক্ষেত্রে বিষয়টা আমরা আলাদা করে বুঝে নেব। এখানে ওরা বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছে।’’