রাজ্যজুড়ে জোরকদমে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার চালাচ্ছে শাসকদল তৃণমূল। জেলায় জেলায় চলছে জনসংযোগ। পাহাড়ের ভোট নিয়ে বাড়তি তৎপর ঘাসফুল শিবির। প্রসঙ্গত, পাহাড় এখন তৃণমূলের শরিক অনীতের দখলে। দার্জিলিং পুরসভা, জিটিএ এবং দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা তাঁরই অধীনে। এমন শক্তির উপর ভর করেই অনীতের দলের উপদেষ্টা গোপালকে দার্জিলিং আসনে তৃণমূল প্রার্থী করেছে। তাঁকে জেতাতে দার্জিলিং ও কালিম্পং চষে বেড়াচ্ছেন অনীত। নিয়মিত বুথভিত্তিক সভা, পদযাত্রা করছেন। মঙ্গলবার তিনি এবং কালিম্পংয়ের বিধায়ক রুদেন সদা লেপচা বিজেপিতে ভাঙন ধারান। তাঁরা বিজেপির পার্বত্য সাংগঠনিক জেলা কমিটির সহ সভাপতি কমল কাটোয়াল-সহ চারজনের হাতে বিজিপিএমের ঝান্ডা ধরান। বুধবার পাহাড়ে আসেন তৃণমূল প্রার্থী। দু’দিন প্রচার করে তিনি ফের সমতলে নামবেন। এবার লোকসভা নির্বাচনে দার্জিলিং কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের সেনাপতি দু’জন। পাহাড়ের ময়দান সামলাচ্ছেন অনীত থাপা এবং সমতল সামলাচ্ছেন পাপিয়া ঘোষ। তাঁদের কেউ বুথস্তরে সভা, পাড়া বৈঠক, আবার কেউ প্রার্থীকে নিয়ে ছুটছেন বহু বহু দূর।
এপ্রসঙ্গে বিজিপিএমের মুখপাত্র শক্তিপ্রসাদ শর্মা বলেন, “পাহাড়ে আমাদের, আর সমতলে তৃণমূলের সংগঠন মজবুত। অনীত থাপার নেতৃত্বে পাহাড়ে প্রচারে ঝড় তুলেছি। বিজেপিতে ভাঙন ধরেছে। কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন পাহাড়ে ছিলেন গোপাল লামা। তিনি পাহাড়বাসীর কাছে পরিচিত মুখ। তাই পাহাড়ে না থেকে তিনি সমতলের প্রচারে জোর দিয়েছেন। এটা আমাদের রাজনৈতিক কৌশল।” উল্লেখ্য, দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশ সমতলভাগ। এতে শিলিগুড়ি, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া ও চোপড়া বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে সংশ্লিষ্ট চার কেন্দ্র চষে বেড়াচ্ছেন তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভানেত্রী (সমতল) পাপিয়া। কখনও প্রার্থীকে নিয়ে এলাকার মন্দিরে পুজো দিচ্ছেন। তারপর পদযাত্রা কিংবা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রার্থীকে পরিচয় করাচ্ছেন। আবার কখনও কখনও পথসভা, পাড়া বৈঠক, ব্লকস্তরে কর্মিসভা করছেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রার্থীকে নিয়ে ময়দানে ছুটছেন তিনি। দুপুরে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ এবং সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে মুড়ি ও শশা দিয়ে সেরে নিচ্ছেন প্রাতঃরাশ।