লোকসভা নির্বাচন কার্যত দোরগোড়ায়। তবুও দুশ্চিন্তা পিছু ছাড়ছে না বঙ্গ বিজেপির। আভ্যন্তরীণ কোন্দল থেকে সাংগঠনিক দুর্বলতা, নানান বিড়ম্বনায় জর্জরিত পদ্মশিবির। এবার প্রচারে বেরিয়ে সাধারণ মানুষের প্রশ্নের মুখে পড়লেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহার কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। কোচবিহারের জন্য কী করতে পেরেছেন নিশীথ? ভোটের আগে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ঢাকঢোল পিটিয়ে হাবের শিলান্যাস হয়েছিল নিউ কোচবিহারের স্পোর্টস হাবের। ২০২৪-এর মধ্যেই প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করে সেখানে প্রশিক্ষণ শুরুর নিশ্চয়তাও দিয়েছিলেন মন্ত্রী। প্রশিক্ষণ দূরের কথা, বাস্তবে সীমানা প্রাচীর তৈরি ছাড়া হাবের কোনও কাজই হয়নি। কোচবিহার থেকে বিমান চালুর কৃতিত্বও রাজ্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে হয়েছে নিশীথকে। লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের দুর্দশার ভয়াবহ ছবিটা করোনার সময় প্রত্যক্ষ করেছেন জেলাবাসী। কোভিডের সময় কর্মহীন মানুষের হাহাকার আর চোখের জল দুর্ভিক্ষের কথা মনে করিয়েছিল। সব মহলের মানুষেরই অভিযোগ, সেই কঠিন দিনগুলিতেও যেভাবে সাধারণ মানুষ সাংসদকে পাশে চেয়েছিলেন, সেভাবে তাঁদের পাশে দাঁড়াননি নিশীথ।
প্রসঙ্গত, সোমবারই প্রকাশিত হয়েছে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস এবং ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচে সাংসদের পারফরমেন্স রিপোর্ট। পাঁচ বছরে লোকসভার অধিবেশনে কোন সাংসদ কতদিন উপস্থিত ছিলেন, কতগুলি প্রশ্ন করেছেন সেই তথ্যও প্রকাশ্যে আনা হয়েছে রিপোর্টে। রিপোর্ট অনুসারে গত পাঁচ বছরে মোট ২৭৩ দিন লোকসভার অধিবেশন বসেছে। তাতে মাত্র ৯২ দিন (৩৩.৭%) উপস্থিত ছিলেন নিশীথ। প্রশ্ন করেছেন মাত্র ৪৯টি। সেই নিরিখে তালিকায় নিশীথের জায়গা হয়েছে ৪৯৩ নম্বরে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে বিতর্কের ঝড়।