মোদী-জমানায় দেশজুড়ে ক্রমশ বেড়েছে বেকারত্বের হার। এর মধ্যেই প্রকাশ্য এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভারতে বেকারদের প্রায় ৮০ শতাংশের বেশিই যুবক, সম্প্রতি এ তথ্য উঠে এসেছে ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের রিপোর্টে। ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) ও ইনস্টিটিউট অফ হিউম্যান ডেভেলপমেন্টের (আইআইএইচডি) যৌথভাবে ‘দ্য ইন্ডিয়ান এমপ্লয়মেন্ট রিপোর্ট ২০২৪’ শীর্ষক এক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালে মোট বেকারের ৬৫.৭ শতাংশের দশম শ্রেণি বা তার বেশি শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে। ২০২০ সালে যা ছিল মোট বেকার সংখ্যার ৩৫.২ শতাংশ। মোদী সরকারের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরণ রিপোর্ট প্রকাশ করেন। রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই মোদী সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। ফলে ভোটের মুখে প্রবল অস্বস্তিতে পদ্মশিবির।
উল্লেখ্য, উক্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের বেকারদের মধ্যে ৭৬.৭ জন শিক্ষিত যুবক এবং ৬২.২ শতাংশ শিক্ষিত যুবতী। আইএলও এবং আইআইএইচডির যৌথ রিপোর্ট অনুযায়ী, স্নাতক বেকারদের সংখ্যা সব থেকে বেশি। মহিলা স্নাতকরা বেশি প্রভাবিত হয়েছেন। ২০২২ সালে বেকার মহিলার সংখ্যা পুরুষদের তুলনায় প্রায় পাঁচগুণ ছিল। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই হার ৯.৮ শতাংশ, মহিলাদের ক্ষেত্রে এই হার ৪৮.৪ শতাংশ। ২০-২৪ বছর এবং ২৫-২৯ বছর বয়সী পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে বেকারত্বের হার সব থেকে বেশি। নিজস্ব ব্যবসা, কাজ এবং অনিয়মিত কাজ করে ভারতের যুব সমাজের একটা বড় অংশের দিন কাটছে। জীবনধারণের ক্ষেত্রে সুরক্ষাহীনতার প্রভাব রয়েছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, পণ্যের খুচরো ও পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি ঘটলেও, সেই অনুপাতে ভারতীয় কর্মীদের বেতন বাড়েনি। অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের হাল আরও শোচনীয় বলেই জানা গিয়েছে।