জোরকদমে চলছে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার। শুক্রবার জনসংযোগ সারলেন আরামবাগের তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগ। আরামবাগ তফসিলি জাতি, উপজাতি অধ্যুষিত লোকসভা। রাজ্যের জনকল্যাণমুখী প্রকল্প ওই অঞ্চলের অনগ্ৰসর শ্রেণির জীবন বদলে দিয়েছে। এলাকার অনগ্ৰসর শ্রেণির ২৭ হাজার মানুষ, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কাস্ট সার্টিফিকেট পেয়েছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, শিক্ষাশ্রী, মেধাশ্রী, বার্ধক্য ভাতার মতো সুবিধা পেয়েছেন মানুষজন। জনতার আর্থ সামাজিক অবস্থার বদল ঘটছে। তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগ অনগ্ৰসর শ্রেণির উন্নয়নের সেই চিত্রই প্রচারে তুলে ধরছেন। প্রার্থীকে ঘিরে দেখা গেল মানুষের ব্যাপক উচ্ছ্বাস। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, আরামবাগ এক দশক আগেও আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা এলাকার মধ্যে ছিল। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর চিত্রের বদল শুরু হয়। গুরুত্ব দেওয়া হয় অনগ্ৰসর শ্রেণির উন্নয়নে।
ফলত, রাজ্যের প্রকল্পের সুবিধা মেলায় সামনের সারিতে উঠে এসেছে অনগ্ৰসর শ্রেণি। শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষাশ্রী, মেধাশ্রী ও ওয়েসিস প্রকল্প অনগ্ৰসর শ্রেণির ছেলেমেয়েদের উন্নয়ন ঘটিয়েছে। পড়ুয়ারা বার্ষিক বৃত্তি পাচ্ছে। বন্ধু ও জয় জোহার প্রকল্পে ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তফসিলি জাতি উপজাতি সম্প্রদায়ের মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের কারণে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হয়েছেন। দুয়ারে সরকার শুরু হওয়ায় মানুষজন উপকার পাচ্ছেন। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষের উন্নয়ন হচ্ছে। তৃণমূলের বক্তব্য, লোকসভা ভোটে এসবের প্রভাব পড়বে। তৃণমূল প্রার্থীর মিতালিদেবীর বক্তব্য, ২০১১ সালের পর থেকে আরামবাগের সার্বিক উন্নয়নের যাত্রা শুরু হয়। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হয়েছে। জমির ফসল সহজে মান্ডি থেকে বড় শহরে পাঠানো যাচ্ছে। উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন ছাত্রছাত্রীরা।