নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে তথ্য আপলোড হওয়ার পর দেখা গিয়েছে কুইক সাপ্লাই চেন নামে একটি সংস্থা, যার দপ্তর মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স গোষ্ঠীর ক্যাম্পাসেই, তারা ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ৪১০ কোটি টাকার বন্ড কিনেছে। যার ৯১ শতাংশেরও বেশি, অর্থাৎ ৩৭৫ কোটি টাকা গিয়েছে বিজেপির কোষাগারে।
বিজেপিকে দেওয়া অনুদানের তালিকায় এক নম্বরে মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং। তারা দিয়েছে ৫৮৪ কোটি। যে সব বড় কর্পোরেট বিজেপিকে অনুদান দিয়েছে তাঁদের তালিকায় তিন নম্বরে কেভেন্টার্স। ওই সংস্থা গেরুয়া শিবিরকে চাঁদা হিসাবে দিয়েছেন ৩৫২ কোটি। আদিত্য বিড়লা গ্রুপ বিজেপিকে দিয়েছে ২৮৫ কোটি টাকা। বেদান্তের ২৩০ কোটিও গেছে বিজেপির কোষাগারে। বিরোধীদের বরাবরই অভিযোগ ছিল দেশের দুই বৃহৎ কর্পোরেট সংস্থা আম্বানি ও আদানিদের কেনা বন্ডের সিংহভাগই পেয়েছে বিজেপি। তথ্য প্রকাশ্যে আসতে সেই অভিযোগই সত্য হল।
বৃহস্পতিবার সাড়ে তিনটে নাগাদ সুপ্রিম কোর্টকে হলফনামা জমা দিয়ে এসবিআইয়ের চেয়ারম্যান দীনেশ কুমার খারা জানান, তাঁরা আদালতের ১৮ মার্চের নির্দেশ মেনে কমিশনকে ইউনিক নম্বর-সহ তথ্য জমা দিয়ে দিয়েছেন। এর পরই বাড়ে ঔৎসুক্য। কখন সেই তথ্য প্রকাশ করবে কমিশন। কারণ, সোমবার যে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট, সেই অনুযায়ী গতকাল বিকেল পাঁচটার মধ্যে এসবিআই-এর থেকে পাওয়া তথ্য আপলোড করতে হবে কমিশনকে। অবশেষে সন্ধে সাড়ে ছটা নাগাদ সেই অপেক্ষার অবসান ঘটে। ওয়েবসাইটে তথ্য আপলোড করে কমিশন।
এর পর থেকেই শুরু হয়ে যায় খোঁজ। কোন রাজনৈতিক দল কোন ইউনিক নম্বরের বন্ড কিনেছে? কোন দল সেই বন্ড ভাঙিয়ে কত টাকা পেয়েছে? প্রাথমিকভাবে দেখা যায় কুইক সাপ্লাই চেন প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক সংস্থা এক বছরের মধ্যে প্রায় ৩৭৫ কোটি টাকা দিয়েছে বিজেপিকে। এই সংস্থার ৫০ শতাংশের বেশি শেয়ার রয়েছে রিলায়েন্স গোষ্ঠীর দখলে। যার পর থেকেই নতুন করে সরব হতে শুরু করে বিরোধীরা।