লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে আরও একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কড়া কটাক্ষে বিঁধল তৃণমূল। প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে ‘মোদী কা গ্যারান্টি’ নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। এই অবস্থায় নয়া দিল্লীর কনস্টিটিউশন ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে কার্যত মোদী সরকারকে আক্রমণ করল তৃণমূল। তৃণমূলের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির ছিলেন বাংলার মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, রাজ্যসভার সদ্য জয়ী সাংসদ সাগরিকা ঘোষ। ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরা হয় মোদীর দত্তক নেওয়া গ্রামগুলোর বর্তমান অবস্থা। দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর দত্তক নেওয়া গ্রামগুলোর অবস্থা কার্যত বেহাল। পানীয় জলের অভাব, শৌচালয়ের অবস্থা কার্যত কঙ্কালসার, গ্রামগুলোতে হাজারও কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বাসিন্দারা।
বিগত ২০১৪ সালে, মোদী সব সাংসদদের তাদের নিজস্ব নির্বাচনী এলাকার গ্রামগুলিকে ‘মডেল গ্রাম’ হিসেবে গড়ে তুলতে বলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বারাণসীতে কয়েকটি গ্রাম দত্তক নিয়েছেন। গ্রামগুলো হল জয়পুর, নাগেপুর, পরমপুর, পুরে বারিয়ারপুর, ডোমরি। জয়পুর গ্রামে হরিজন বস্তিতে কোনও আবাসন নেই, অব্যবহারযোগ্য শৌচালয়। প্রায় ১০ জন লোক এই শৌচালয় ব্যবহার করে যার কল নেই, দরজা ভাঙা। নাগেপুরের রাস্তা ব্যবহারযোগ্য নয়। পরমপুরে বাড়িতে বাড়িতে কল রয়েছে কিন্তু সেই কলগুলিতে জল নেই। পুরেগাঁওয়ে, ২০২৩ সালের শেষ দু-মাসে কোনও জল সরবরাহ ছিল না। শৌচালয়গুলো অব্যবহারযোগ্য। পুরে বারিয়ারপুর গ্রামে, দলিত পাড়াকে আলাদা করে জোগাপুর নামক একটি নতুন গ্রাম তৈরি করা হয়েছিল। জোগাপুরে অনেকের জলের কলই নেই। হ্যান্ডপাম্পের জল দূষিত। বর্ষাকালে ডোমরিতে, বেশিরভাগ দলিত পরিবার প্লাস্টিকের আশ্রয়ে জীবনযাপন করে। পাশাপাশি বছরে দু-কোটি চাকরি, পনেরো লক্ষ টাকা, কালো টাকা ফেরানো-সহ মোদীর নানান প্রতিশ্রুতি নিয়ে কেন্দ্রকে একহাত নেয় ঘাসফুল শিবির। পাশাপাশি, প্রশ্ন তোলা হয় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও।