নির্বাচনের মুখে ফের শক্তিবৃদ্ধি ঘটল তৃণমূলের। পাশাপাশি দুর্বল হল আইএসএফের সংগঠন। রবিবার শতাধিক আইএসএফ কর্মী-সমর্থক যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। এদিন হাওড়া লোকসভার পাঁচলায় তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সর্মথনে কর্মীসভার আয়োজন করে স্থানীয় নেতৃত্ব। সেই সভাতেই ঘাসফুল শিবিরে নাম লিখিয়েছেন আইএসএফের কর্মীরা। গত বিধানসভা নির্বাচনে পাঁচলা কেন্দ্রে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোটের পক্ষ থেকে প্রার্থী দিয়েছিল আইএসএফ। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে সেই এলাকা থেকেই দলে দলে আইএসএফ কর্মী যোগ দিল তৃণমূলে। রবিবার নির্বাচনী প্রচার ও জনসংযোগ কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসেন বিদায়ী সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তৃণমূলে যোগ দেন প্রচুর আইএসএফ কর্মী ও সমর্থক।
এদিন তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন পাঁচলার বিধায়ক গুলশান মল্লিকও। ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে ৪২টি কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করে তৃণমূল। হাওড়ায় ফের প্রার্থী করা হয়েছে সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কেই। নাম ঘোষণার পরেই প্রচার শুরু করেছেন প্রসূন। এদিন এই কর্মীসভায় উপচে পড়া ভিড় ছিল তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের। প্রসূন বলে দেন, “এখানে বিরোধীরা কেউ জায়গা পাবে না। এটা আমাদের শক্ত ঘাঁটি।” আত্মবিশ্বাসী পাঁচলার বিধায়ক গুলশান মল্লিকও। “আমরা বরাবরই এই বিধানসভায় লিডের ক্ষেত্রে প্রথম হয়েছি। সব সময় প্রথমে থেকেছি। ২০২৪-এও আমরাই প্রথমে থাকব। এখান থেকে পিছিয়ে পড়ার কোনও প্রশ্নই নেই”, জানিয়েছেন তিনি।