শনিবার দুপুরে ঘোষিত হল লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট। দিনক্ষণ ঘোষণা করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। গত নির্বাচনের মতো এবারেও সাত দফায় ভোটগ্রহণ হবে বাংলায়। ৪২ আসনের রাজ্যে ভোট পর্ব চলবে ৪৩ দিন ধরে। আর এ নিয়েই প্রতিবাদে সরব হয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। বেছে বেছে বাংলাতেই কেন বারে বারে একাধিক দফায় ভোট করা হচ্ছে, সে প্রশ্ন তুলেছে ঘাসফুল শিবির। ভোটের দিনক্ষণ প্রকাশ্যে আসতেই তৃণমূলের তরফে সাংবাদিক সম্মেলেন করেন তৃণমূলের মহিলা সংগঠনের প্রধান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং দলের শ্রমিক নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্বদল বৈঠকে বাংলায় এক দফায় ভোট করানোর আর্জি জানিয়েছিলে তৃণমূল, সেইদাবির কথা উল্লেখ করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। “অতীতে দেখা গিয়েছে নির্বাচনের দফা বাড়লে ভোটার্স টার্ন আউট কমে যায়। উনিশেও সাত দফায় ভোট হয়েছিল, সেখানেও পূর্ববর্তী নির্বাচনের তুলনায় মানুষ কম ভোট দিয়েছিলেন। সেই কারণেই তৃণমূল এক বা দুই দফায় ভোট গ্রহণের আবেদন করেছিল”, জানান তিনি।
এরই পাশাপাশি তৃণমূলের অভিযোগ, ভোট প্রক্রিয়া দীর্ঘ হলে আর্থিকভাবে শক্তিশালী দল, অর্থ ব্যবহার করে ভোটকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে। এক্ষেত্রেও তা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে তারা। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার ও মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ প্রসঙ্গে তৃণমূলের অভিযোগ, ক্রিকেট দলের অধিনায়ক যেন আম্পায়ার নিয়োগ করছেন বা ফুটবল দলের অধিনায়ক রেফারি নিয়োগ করছে। উল্লেখ্য, নয়া আইনে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করেন, সেই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সরব হয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের শ্রমিক নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ও বাংলায় ভোটের দফা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাতের মতো রাজ্যে যেখানে এক দফার নির্বাচন শেষ করে ফেলা হচ্ছে, সেখানে বাংলায় কেন সাত দফায় ভোট করা হচ্ছে? উঠেছে প্রশ্ন। পাশাপাশি এদিনের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে ইডি, সিবিআইয়ের ভূমিকা এবং বাংলার প্রতি মোদী সরকারের ক্রমাগত বঞ্চনা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ঘাসফুল শিবির।