বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরই দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচন। শনিবার ঘোষিত হয়েছে তার দিনক্ষণ। পাশাপাশি ৪ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে কমিশন। কিন্তু এক দশক কেটে গেলেও ভোটের বালাই নেই জম্মু ও কাশ্মীরে। বিধানসভা নির্বাচন না হলেও, জম্মু ও কাশ্মীরের ৫ লোকসভা আসন এবং লাদাখের এক লোকসভা আসনে নির্বাচন হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে সূত্রপাত হয়েছে বিতর্কের। বিগত ২০১৪ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে অবিভক্ত জম্মু কাশ্মীরে শেষবার বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল। তারপর ২০১৯ সালের আগস্টে ৩৭০ ধারা বাতিল করে মোদী সরকার। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আগেই সেখানকার বিধানসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে জম্মু কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেয় শীর্ষ আদালত।
পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে জম্মু কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন করাতে হবে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পর জম্মু কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের তৎপরতা শুরু করে মোদী সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দফায় দফায় প্রশাসন ও সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। মনে করা হচ্ছিল, লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই হয়ত বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জম্মু ও কাশ্মীরে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে আজ অন্ধ্রপ্রদেশ, উড়িষ্যা, অরুণাচল প্রদেশ ও সিকিমে বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেন কমিশনার রাজীব কুমার। বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা উপনির্বাচনের দিনও ঘোষণা করে কমিশন। কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীর রইল সেই অনিশ্চয়তার তিমিরেই। ১০ বছর পরও জম্মু কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণা হল না। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা।