গোষ্ঠীকোন্দলের ছায়া থেকে রেহাই মিলছে না বঙ্গ বিজেপির। লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ইতিমধ্যেই ঘোষিত হয়েছে। ভোট যতই এগিয়ে আসছে, ততই মাথাচাড়া দিচ্ছে পদ্মশিবিরের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে টিকিট না পেয়ে দলীয় প্রার্থী মনোজ টিগ্গার সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলা। মাদারিহাটে প্রকাশ্যে সেই মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল ছড়ায়। পরে অবশ্য বারলা সুর নরম করলেও বিজেপির চা-শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় টি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন (বিটিডব্লুইউ) এখনও দলের প্রার্থীর সমর্থনে চা বাগানে সেভাবে প্রচারে নামেনি। আর এতেই কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে গেরুয়াশিবিরে। এরই মধ্যে মনোজের বিরোধিতা করে বানারহাটের মোরাঘাট চা বাগানের ছেত্রী লাইন ও হলদিবাড়ি চা বাগানের বিভিন্ন জায়গায় সাঁটানো হয়েছে হাতে লেখা পোস্টার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ডুয়ার্সের চা বলয়ে বিজেপির মূল শক্তি বিটিডব্লুইউ। এই সংগঠনকে সামনে রেখে গত লোকসভা ভোটে আলিপুরদুয়ারে জন বারলা প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটে বাজিমাত করেছিলেন। বারলা টিকিট না পাওয়ায় সেই বিটিডব্লুইউ এবার অপেক্ষাকৃত ম্যাড়মেড়ে। যদিও বিজেপির আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তথা মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা বিটিডব্লুইউয়ের নিষ্ক্রিয় থাকার কথা মানতে চাননি। তাঁর মন্তব্য, বিটিডব্লুইউ প্রচারে নেই, একথা ঠিক নয়। প্রতিটি বাগানে বিটিডব্লুইউয়ের প্রচার কমিটি তৈরি হয়েছে। আলাদা করে মাদার সংগঠনেরও বুথ কমিটি হয়েছে প্রতিটি বাগানে। জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা বিধানসভার মেটেলি থেকে অসম সীমানায় কোচবিহারের তুফানগঞ্জ পর্যন্ত ১১৬টি চা বাগান।রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, একদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের চা শ্রমিকদের জন্য কিছু না করা, অন্যদিকে ভোটের প্রচার থেকে বিটিডব্লুইউ নেতৃত্বের নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া, আলিপুরদুয়ারে বিজেপির ঘুম কেড়ে নিয়েছে এই দুটি বিষয়ই।