বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। কার্যত দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। এমতাবস্থায় জোরকদমে রাজ্যে প্রচারে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস-সহ সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি-বিরোধিতার আওয়াজ তুলেছেন। জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে আগামীকাল, ১৪ই মার্চ, ময়নাগুড়ি টাউন ক্লাবের মাঠে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টোয় অভিষেকের জনসভা হবে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি টাউন ক্লাব মাঠে। ১০ মার্চ ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে বাংলার মানুষের প্রতি অভিষেক অনুরোধ করেছিলেন, ‘‘এমন আওয়াজ তুলুন, যাতে মেরুদণ্ড কেঁপে যায় আর দিল্লির বুকে ভূমিকম্প অনুভূত করে বহিরাগত নেতারা ৷’’ এরপর ১৬ই মার্চ পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে অভিষেকের সভা আছে। তারপর অভিষেক আবার যাবেন উত্তরবঙ্গে। ১৮ই মার্চ জনসভা করবেন দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে।
এরপর সেখান থেকে দক্ষিণবঙ্গে ভোটপ্রচার করবেন অভিষেক। ২০শে মার্চ বসিরহাট এবং ২২শে মার্চ পূর্ব বর্ধমানে জনসভা করতে যাবেন অভিষেক। সম্প্রতি সন্দেশখালি ইস্যুতে বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে বসিরহাটে অভিষেকের জনসভা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুরের দুটি লোকসভা কেন্দ্রই ২০১৯ সালে গিয়েছিল বিজেপির দখলে। জলপাইগুড়ির সাংসদ হন জয়ন্তকুমার রায় আর বালুরঘাটে জয়ী হন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তৃণমূল সূত্রে খবর, নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত নীতি ‘একলা চলো’ মেনে ৪২টি কেন্দ্রের সমস্ত বুথে বিজেপি-সিপিএম এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের রণকৌশলও জানিয়ে দেবেন তিনি। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রের বঞ্চনা এবং রাজ্যের উন্নয়ন-এই দুই ইস্যুকে সামনে রেখে কীভাবে বাড়ি-বাড়ি প্রচারে দল নামবে, তাও এই বৈঠকে ঘোষণা করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যেভাবে ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’ শীর্ষক প্রচার শুরু করা হয়েছিল সেভাবেই তৃণমূলের তরফে এবারও বিশেষ ক্যাম্পেন করবে জোড়াফুল শিবির। আর সেই প্রচারের প্রধান মুখ যেমন হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তেমনই লড়াইয়ের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হিসেবে জেলায়-জেলায় প্রচারে নামতে দেখা যাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।