সিএএ কার্যকর হতেই পাল্টা মাস্টারস্ট্রোক দিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার তপসিলি জনজাতির ভোট টানতে বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হল। মঙ্গলবার থেকেই নতুন কর্মসূচি ‘তপসিলির সংলাপ’ চালু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রত্যেক এলাকায় যাবে এই প্রচার গাড়ি।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজ্যের নানা সম্প্রদায়ের মানুষের উন্নতির জন্য একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন। তপসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষদের উন্নতি সাধনে একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তফসিলি জাতি উপজাতি মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতে এবং তাঁদের সচেতনতার লক্ষ্যে নতুন কর্মসূচি নিল তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিকে দেশজুড়ে কার্যকর করা হয়েছে সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন।
ঠিক লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে আইন পাশ হওয়ার চার বছর পর সোমবার এই আইন সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তখন থেকেই নানা মহল থেকে আসতে শুরু করেছে তুমুল প্রতিক্রিয়া। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন, ‘কাউকে বঞ্চনা করতে দেব না।’ তারপরই ‘তফসিলির সংলাপ’ নামে একটি নতুন গাড়ি সামনে নিয়ে আসা হয়েছে। এবার সব প্রকল্পগুলি সাধারণ মানুষ সঠিকভাবে পাচ্ছেন কিনা সেটা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে রাজ্যের প্রত্যেকটি বিধানসভায় তফসিলির সংলাপ নামক গাড়ি চালু করা হয়েছে। এটাই মাস্টারস্ট্রোক।
সূত্রের খবর, আদিবাসী অধ্যুষিত জঙ্গলমহলের কোনও না কোনও এলাকায় প্রত্যেকদিন পৌঁছে যাবে গাড়িটি। গাড়িটিতে থাকবেন তফসিলি সেলের নেতারা। তাঁরা সেখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের কী সমস্যা রয়েছে সেটা জানার চেষ্টা করবেন। কেন্দ্রের মোদী সরকার ও বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে কীভাবে তফসিলিরা অত্যাচারিত হচ্ছেন সে বিষয়টি এলাকায় প্রচার চালানো হবে। বিজেপি সরকার যে তফসিলি সম্প্রদায়ের মানুষকে দিনের পর দিন বঞ্চিত করছেন সেটা এই গাড়িতে ঘুরে এলাকায় প্রচার চালানো হবে। ‘তফসিলির সংলাপ’ গাড়িটি বড় প্রচারের কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে।