ভোটের আগে ফের আভ্যন্তরীণ কোন্দলে জর্জরিত বঙ্গ বিজেপি। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, তমলুক থেকে বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হতে পারেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর মধ্যেই তমলুকে পৌঁছন তিনি। বিজেপির জেলা কার্যালয়ে দলের নব্য নেতা-কর্মীরা তাঁকে নিয়ে মেতে ওঠেন। কিন্তু জেলার প্রাক্তন দুই সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও নবারুণ নায়েক-সহ আদি নেতারা ডাক না পেয়ে গৃহবন্দি রইলেন। তমলুক, কোলাঘাট, ময়না-সহ জেলার নানান প্রান্তের নেতা-কর্মীরা কার্যত অভিমান ও ক্ষোভে মুখ ফিরিয়েছেন। এদিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ অভিজিৎ তমলুকে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে আসেন। তথাকথিত বিজেপির নব্য নেতা-কর্মীরা ভিড় করেন। জানা যাচ্ছে, অধিকাংশই ২০২০ সালের পর বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আদি নেতাদের বক্তব্য, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বিজেপির নিয়ন্ত্রণ এখন দলবদলুদের হাতেই।
প্রসঙ্গত, তমলুক ও কাঁথি, দুই সাংগঠনিক জেলার জেলা সভাপতিরা ২০২০ সালে দলে এসেছেন। আদি শিবির একেবারেই কোণঠাসা। প্রাক্তন জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন জেলা সাধারণ সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র মাইতিরা দলে গুরুত্বহীন। লোকসভা ভোট আসন্ন কিন্তু পুরনো নেতা, কর্মীদের বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দিতেও নারাজ ক্ষমতাসীন নব্য গোষ্ঠী। তমলুক লোকসভার সম্ভাব্য বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের জেলায় আসার দিনও তাঁদের ডাকা হল না। আদি কর্মীদের বক্তব্য, তাঁদের ডাকা হয়নি। তমলুক শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে অভিজিৎকে কটাক্ষ করে স্থানীয় কাউন্সিলারের উদ্যোগে ব্যানার ঝোলানো হয়। কাউন্সিলার পার্থসারথী মাইতির কথায়, “অভিজিৎ বিচারপতি ছিলেন। নিজের কেরিয়ারের কথা ভেবেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। লোভী মানুষ।” ভোটের আগে এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তি বাড়ছে বিজেপি নেতৃত্বের।