দেশের রাজনৈতিক মহলে সূত্রপাত হয়েছে নতুন বিতর্কের। শনিবার নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন অরুণ গোয়েল। সেই নিয়ে চরম শোরগোল সৃষ্টি হয়। এই আবহে আজ ব্রিগেডে তৃণমূলের জনগর্জন জনসভা থেকে অরুণ গোয়েলকে স্যালুট জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “গতকাল নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করেছেন। কাগজে দেখলাম, বাংলার উপর যথেচ্ছ সন্ত্রাস ও বাংলায় ভোটের নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। তাঁকে এই মঞ্চ থেকে স্যালুট জানাচ্ছি। নিজের লেজ নিজেই কাটছে। যে গাছের ডালে বসে আছে, সেই গাছের ডালই কাটছে।” ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের বাকি আর কয়েক সপ্তাহ। কয়েকদিনের মধ্যে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে জাতীয় নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল পদত্যাগ করেন। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিরোধী নেতারা। কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গে, কেসি বেণুগোপাল, তৃণমূলের সাকেত গোখলে, মহুয়া মৈত্ররা এই নিয়ে পোস্টও করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
উল্লেখ্য, এর আগে এই অরুণ গোয়েলের নিয়োগ নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল ২০২২ সালে। অরুণের পদত্যাগের জেরে বর্তমানে শুধুমাত্র মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজীব কুমার আছেন কমিশনের ফুল বেঞ্চে। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে অপর নির্বাচন কমিশনার অনুপ পাণ্ডে অবসর নিয়েছিলেন। এই আবহে কমিশনার পদে নিযুক্ত দুই আধিকারিক কেন্দ্রীয় সরকারের ‘আস্থাভাজন’ হবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিরোধীরা। এই আবহে খাড়গে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “ইলেকশন কমিশন নাকি ইলেকশন অমিশন (বাদ দেওয়া)?” ভারতের গণতন্ত্র বিপন্ন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন কংগ্রেস সভাপতি। এদিকে বেণুগোপাল বলেন, “সরকার স্বচ্ছ নির্বাচন চায় না।” এদিকে অরুণের পদত্যাগে এখন দু’টি নির্বাচন কমিশনারের শূন্যপদে নিয়োগ করবে কেন্দ্র।