সেই একুশের ভোটযুদ্ধে ভরাডুবির পর থেকেই শনির দশা শুরু হয়েছে বঙ্গ বিজেপির। দলত্যাগের হিড়িক তো ছিলই। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে বারবার প্রকাশ্যে এসে পড়ছে দলের অন্তর্কলহও। কিছুদিন আগেই যেমন আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হতে না পেরে শুভেন্দু অধিকারী এবং মনোজ টিগ্গার বিরুদ্ধে খুব উগরে দিয়েছেন বিদায়ী সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা। এই আবহেই শনিবার ফের বঙ্গ সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এবার তিনি সভা করবেন সেই উত্তরবঙ্গেই। প্রথম সভাটি হবে শিলিগুড়িতে।
আজ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন কাওয়াখালি মাঠে বিকেল তিনটেয় ওই সভা করবেন মোদী। এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে সড়ক পথে যাবেন কাওয়াখালি ময়দানে। প্রথমে সরকারি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। আধ ঘণ্টার সরকারি অনুষ্ঠানের পর জনসভা করবেন। তবে মোদী আসার আগেই বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বলে একদা পরিচিত উত্তরবঙ্গে দলের মধ্যে বিদ্রোহের সুর। আলিপুরদুয়ারের দলের প্রার্থী মনোজ টিগ্গার সঙ্গে জন বার্লার সংঘাত চরমে উঠেছে। আলিপুরদুয়ার থেকে প্রার্থী হতে না পেরে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সেখানকার বর্তমান সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
অন্যদিকে, দলে কোনও ক্ষেত্রেই গুরুত্ব পান না, এই অভিযোগ তুলে ক্ষুব্ধ রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ। প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, শিলিগুড়িতে বসে থাকা অনন্ত মহারাজের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর সভাতেও তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ফলে মোদীর সভাতে অনন্ত মহারাজ আদৌ উপস্থিত থাকবেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। সবমিলিয়ে লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির জন্য এই পরিস্থিতি যে মোটেও স্বস্তিদায়ক নয়, তা বলাই বাহুল্য। ফলে মোদী আজ দলের এই অন্তর্কলহ সামাল দিতে পারবেন কিনা, তা প্রশ্ন উঠছেই।