বারাসতের কাছারি ময়দানের সভা থেকে সন্দেশখালি কাণ্ডের উল্লেখ করে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার তাঁর মন্তব্য ধরে ধরে পাল্টা সরব হলেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা।
বারাসতের কাছারি ময়দানের সভা থেকে মোদী তাঁদের সরকার নারী ক্ষমতায়নে কী কী করেছে, কী কী প্রকল্প রয়েছে, সেই সবের সবিস্তার বর্ণনা দেন। বক্তৃতা শুরু করেন দেবী কালী, দুর্গার নাম নিয়ে। উল্লেখ করেন রানি রাসমণি, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের মতো কৃতী বাঙালি নারীর কথা। তার পরেই বাংলা জুড়ে ‘সন্দেশখালি-ঝড়’ ওঠার কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা প্রথমেই সম্প্রতি রাজ্য বিজেপির ‘পোস্ট’ করা একটি ব্যঙ্গচিত্রের প্রসঙ্গ তোলেন। তাতে সারদা দেবীর আদলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফুটিয়ে তুলে কিছু মন্তব্য করা হয়েছিল।
তা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শশী বলেন, ‘বিজেপি মা সারদাকে নিয়ে এখানে কার্টুন তৈরি করেছিল। ব্যঙ্গ করলেন, বিদ্রুপ করলেন। আর মায়ের নামে এখন জয়ধ্বনি দিচ্ছেন! আপনারা তো বলতেন, দুর্গাপুজো, কালীপুজো হতে দেয় না। এখন দিদি যেটা বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার, সেটাই মেনে নিতে হল।’ অন্যদিকে, মণিপুর, হাথরসের প্রসঙ্গ টেনে সরব হয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং সাংসদ সুস্মিতা দেবও। ডেরেকের প্রশ্ন, ‘নরেন্দ্র মোদী আজ নারীশক্তি নিয়ে বক্তৃতা করেছেন। কিন্তু দেশে প্রতি ঘণ্টায় ৫১টি নারী নির্যাতনের ঘটনা কেন ঘটছে?’
এদিকে, বিভিন্ন ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তেরা শাস্তি পায়নি বলেও দাবি করেছে তৃণমূল। ডেরেক ও সুস্মিতা দিল্লিতে কুস্তিগিরদের ‘নিগ্রহের’ অভিযোগে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা-ও জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে সুস্মিতার আরও তোপ, ‘বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মালা পারান আপনার বিজেপির লোকজন। আপনি চুপ থাকেন। আপনি আসলে নারী-শক্তি বিরোধী!’ শুধু তাই নয়। বিজেপির প্রথম প্রার্থী তালিকায় মাত্র ১৪ শতাংশ মহিলা কেন, সে প্রশ্নও তোলা হয় তৃণমূলের তরফে।