বিদেশের মাটিতে প্রাণ হারালেন বাংলার আরও এক পরিযায়ী শ্রমিক। উজবেকিস্তানে টিনের ওয়ার্কশপ ভেঙে চাপা পড়ে মৃত্যু হল সাইফুদ্দিন মাইতির। বয়স ২৯ বছর। হলদিয়ার ভবানীপুর থানার রাজনগর গ্রামে তাঁর বাড়ি। মাস চারেক আগে উজবেকিস্তানের কাজে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার তুষার ঝড়ে তাঁদের ওয়ার্কশপ ভেঙে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, এই দুর্ঘটনায় মোট ১২জনের মৃত্যু হয়েছে। একই জায়গায় কর্মরত হলদিয়ার শিবরামনগরের পরিমল পট্টনায়ক নামে আরেক যুবক। ওই দুর্ঘটনার স্থল থেকে কিছুটা দূরে তিনি ছিলেন। মঙ্গলবার হোয়াটসঅ্যাপ করে তিনি সাইফুদ্দিনের রাজনগরের বাড়িতে এই খবর দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বাড়িতে রয়েছেন মৃত যুবকের স্ত্রী এবং শিশুসন্তান।
প্রসঙ্গত, বাগনানের এক এজেন্টের সঙ্গে উজবেকিস্তানে ফিটারের কাজে গিয়েছিলেন মৃত যুবক। এন্টার ইঞ্জিনিয়ারিং নামে একটি ভারতীয় সংস্থার অধীনে তিনি কাজ করতেন। সাইফুদ্দিনরা কাজে গিয়েছিলেন। সেই সময় দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনায় ১২জন মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সাইফুদ্দিনের প্রতিবেশী শেক আবদুস সাত্তার জানিয়েছেন, “ছেলেটি ভীষণ ফিটার ট্রেনিং নেওয়ার পর এলাকায় কাজ পায়নি । নিরুপায় হয়ে উজবেকিস্তানে গিয়েছে। আর সেখানেই তাঁর জীবনের শেষ পরিণতি ঘটল। এটা ভাবাও যায় না। যুবকের পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে।” এবিষয়ে স্থানীয় ভবানীপুর থানার ওসি ইমরান মোল্লা জানিয়েছেন, তাঁরা সাইফুদ্দিন মাইতির মৃত্যুর খবর পেয়েছেন। ওঁর বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। মৃতদেহ দেশে আনার ক্ষেত্রে সবর্স্তরে যোগাযোগ চলছে প্রশাসনিকভাবে।